বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

২০ দেশকে কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে ৭৩ শতাংশ

২০ দেশকে কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে ৭৩ শতাংশ

শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র (এসি-রেফ্রিজারেটর) ব্যবহারে সঠিক পদক্ষেপে কার্বন নিঃসরণ কমতে পারে ৬০ থেকে ৯৬ শতাংশ। একই সঙ্গে এতে ভোক্তাদের সাশ্রয় হবে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। জ্বালানি খাত সংশ্লিষ্টদেরও ব্যয় কমবে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া ৩৫০ কোটি মানুষের জীবন বাঁচাতে আনা যাবে শীতাতপ সুবিধার আওতায়।

গতকাল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে চলমান বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৮) জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর গতকাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬০ দেশ কুলিং কার্বন কমানোর অঙ্গীকার করে এ-সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, পৃথিবীর  উন্নত ২০টি দেশকে (জি২০) কার্বন নিঃসরণ কমাতে হবে ৭৩ শতাংশ। যদি এখনই এ বিষয়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয়, তাহলে ২০৫০ সালে এ খাতে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ দ্বিগুণ হবে। ওই সময়ের যত কার্বন নির্গমন হবে তার ১০ শতাংশ আসবে কুলিং ইকুইপমেন্স থেকে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমান প্রবৃদ্ধির প্রবণতা অনুযায়ী, কুলিং ইকুইপমেন্টের মাধ্যমে মোট বিদ্যুৎ খরচের ২০ শতাংশ খরচ হয়। ২০৫০ সালে তা দ্বিগুণ হবে। পাশাপাশি রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসের লিকেজের পাশাপাশি বিদ্যুৎ খরচ থেকে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন বৃদ্ধি পাবে। এ বিষয়ে নিজের বক্তব্যে কপ-২৮ প্রেসিডেন্ট ড. সুলতান আল জাবের বলেন, আমাদের জ্বালানি সক্ষমতা বাড়াতে হলে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। টেকসই শীতলায়নে প্রবেশাধিকার বাড়াতে হবে সাধারণ মানুষের। কারণ তারা কম কার্বন নিঃসরণ করে আর বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

জলবায়ুর প্রভাবে অবনতি হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্যের : গতকাল দুবাইয়ের এক্সপো সিটিতে চলমান বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে আয়োজিত একটি সাইড ইভেন্টে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়া ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি অন্যতম। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ মিশনের সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট ড. ওয়ামেক রাজা। প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের ক্লাইমেট অ্যান্ড হেলথ লিড তামের রাবি। মূল প্রবন্ধে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতি বছর ৫৯ হাজার থেকে ৩ লাখ ২৩ হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হতে পারে।

সর্বশেষ খবর