শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আশা জাগাচ্ছে শিক্ষক দম্পতির কমলার বাগান

রেজাউল করিম মানিক, লালমনিরহাট

আশা জাগাচ্ছে শিক্ষক দম্পতির কমলার বাগান

আশা জাগাচ্ছে শিক্ষক দম্পতির কমলার বাগান। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী গ্রামের শিক্ষক দম্পতি খলিলুর রহমান ও ফাতেমা খাতুন মজুমদার সমতল ভূমিতে চায়না, নাগপুরি ও দার্জিলিং জাতের কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন। তাঁদের সাফল্য দেখতে প্রতিদিনই পাশের উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন অনেকে। খলিলুর রহমান মিলনবাজার মোজাম্মেল  হোসেন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আর ফাতেমা খাতুন মজুমদার পশ্চিম সারডুবী গ্রামের পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।

১৯৯৫ সালে এ দম্পতি শুরু করেন বিভিন্ন গাছের নার্সারি। ২০১১ সালে দার্জিলিং জাতের কমলার বাগান করেন। ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে গ্রহণ করেন ফাতেমা খাতুন মজুমদার। এর পরই ওই শিক্ষক দম্পতির আগ্রহ বেড়ে যায়। নার্সারি ও কমলার বাগান থেকে প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা আয় করছেন তাঁরা।

শিক্ষক খলিলুর রহমান বলেন, ‘১৯৯৫ সালে আমরা প্রথম নার্সারি তৈরি করি। পাশাপাশি আমার স্ত্রী ২০১১ সালে দার্জিলিং জাতের কমলা রোপণ করেন। এরপর আমাদের কমলার বাগানের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে।’ ফাতেমা খাতুন মজুমদার বলেন, ‘শিক্ষকতার পাশাপাশি কৃষিতে জড়িয়ে পড়েছি। ২০১১ সালে কমলাবাগানের পর কৃষি বিভাগ থেকে সার্বিক সহযোগিতা পেয়েছি। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার পেয়েছি। ফলে কমলা চাষের প্রতি আমার আগ্রহ বেড়ে যায়। পাশাপাশি মাছ চাষ, গাভিপালন থেকে শুরু করে বিভিন্ন কৃষিকাজ করে সময় পার করছি।’ হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন মিয়া বলেন, ‘হাতীবান্ধায় একটি কমলাবাগান রয়েছে। বাগানটি পরিদর্শনে যাব। পাশাপাশি কমলা চাষিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হবে।’ লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. হামিদুর রহমান বলেন, ‘নিজ উদ্যোগে কমলা চাষ করছেন জেলার অনেক কৃষক। ইতোমধ্যে অনেকে সফল হয়েছেন। তার মধ্যে ফাতেমা খাতুন মজুমদার কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর