শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

একই জমিতে গাছে গাছে ঝুলছে সাত জাতের কমলা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

একই জমিতে গাছে গাছে ঝুলছে সাত জাতের কমলা

পাহাড়ি অঞ্চলের কমলা চাষ দিনাজপুর অঞ্চলে হবে এরকম কেউ না ভাবলেও এটি সম্ভব করেছে চাষিরা। এখন দিনাজপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন জাতের কমলা চাষ শুরু হয়েছে। কেউ কেউ বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন। এবার একই জমিতে সাতটি জাতের কমলা পরীক্ষামূলক চাষ করে সফলতা পেয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম। দার্জিলিং, ম্যান্ডারিন, চায়না, পাকিস্তানি, ছাতকি, নেপালি ও নাগপুরী জাতের কমলা চাষ করে বাজিমাত করেছেন তিনি। তার কমলা গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে হলুদ রঙের কমলা। প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থান থেকে আসছেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ।

২০০১ সালে ৩৩ শতক জমি নিয়ে ঘোড়াঘাট পৌরসভার নুরজাহানপুর এলাকায় বিসমিল্লাহ নার্সারি গড়ে তোলেন জাহাঙ্গীর আলম। গত কয়েক বছরে নার্সারির পরিধি বেড়ে বিস্তার লাভ করে ৪ একর জমিতে। বর্তমানে নার্সারিতে বাহারি জাতের দেশি-বিদেশি ফলদ, ফুল, মসলা ও ঔষধি গাছও রয়েছে। ১০ থেকে ১২ ফুট উচ্চতার কয়েকটি গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে রঙিন দার্জিলিং, ম্যান্ডারিন, পাকিস্তানি ও চায়না জাতের কমলা। এসব কমলার রং সবুজ মিশ্রিত। কমলা চাষের শুরুতে নানা শঙ্কা থাকলেও এখন তিনি সফলতার পথে। ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নুরজাহানপুর গ্রামের নার্সারি মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৩ বছর আগে আমার নার্সারির ১ একর জমিতে পরীক্ষামূলক কমলা চাষ করি। বর্তমানে বাগানে পরিপূর্ণভাবে কমলা ধরেছে। সুস্বাদু হওয়ায় এ কমলার অনেক চাহিদা। আমি বাগান থেকেই ৩২০ টাকা দরে কমলা বিক্রি করছি। ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রফিকুজ্জামান জানান, কমলা চাষের জন্য ২৫-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাসহ গ্রীষ্মকালে কমলা খেতে ছাউনি দিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। এ ছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। নিয়ম মেনে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এ অঞ্চলের মাটিতে কমলা চাষে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। কমলা চাষি জাহাঙ্গীর আলম তার একটি উদাহরণ মাত্র।

সর্বশেষ খবর