রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কংগ্রেস নেতার বাড়ি যেন রুপির পাহাড়

২০০ কোটি রুপি পাওয়ার দাবি ভারতের আয়কর বিভাগের

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

রুপির পাহাড় বললেও কম বলা হবে! বেআইনি অর্থের খোঁজে গত বুধবার শুরু হয়েছিল অভিযান, এরপর উদ্ধার কাঁড়ি কাঁড়ি রুপি। দুই দিন ধরে সেই রুপি গোনার কাজ এখনো চলছে। রুপি গুনতে আসা ব্যাংকের কর্মীরাও এক প্রকার অধৈর্য হয়ে পড়েছেন। হবেই-বা না কেন? একটা দুটো রুপি তো আর নয়! অর্থের পরিমাণ নাকি ২০০ কোটি রুপিরও বেশি!  এই বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়া গেল ভারতের ওড়িশা রাজ্যের কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ ধীরজ সাহুর ওড়িশা ও ঝাড়খন্ডের বাসা থেকে।

আয়কর সূত্রে জানানো হয়েছে, একটি মদ প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং তার সঙ্গে যুক্ত আনুষঙ্গিক সংস্থা থেকে আয়বহির্ভূত সম্পত্তির সূত্র ধরে এই অভিযান চালানো হয় কংগ্রেস সংসদ সদস্য এবং এ সংস্থায় কর্মরত বিভিন্ন কর্মীর বাসা, কারখানায়।

এরপরই উদ্ধার হয় রাশি রাশি রুপির থলে। পরে সেই উদ্ধারকৃত অর্থ নিয়ে আসা হয় ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ‘স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া’ (এসবিআই)-এর বোলাঙ্গি শাখায়। ওড়িশার বোলাঙ্গির এসবিআই শাখার আঞ্চলিক কর্মকর্তা ভগৎ বেহেরা জানান, ‘দুই দিন ধরে উদ্ধারকৃত রুপি গণনার কাজ চলছে। রুপি গোনার জন্য ৫০ জন কর্মীকে কাজে লাগানো হয়েছে। আরও বেশি কর্মীকে নিয়ে এসে তাদেরও কাজে লাগানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে।’

তিনি আরও জানান, ‘এখন পর্যন্ত ১৭৬টি রুপির থলে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪০টি রুপির থলে গোনার কাজ শেষ হয়েছে। এবার বাকি থলেগুলোর গণনার কাজে হাত দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪০ কোটি রুপির অর্থ গোনা হয়েছে। তিতলাগড় এলাকাতেও কিছু অর্থ গোনার কাজ চলছে। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ গোনার জন্য ব্যাংক চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আঁটসাঁট করা হয়েছে।’  সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানায়, উদ্ধারকৃত ওই বেআইনি অর্থের পরিমাণ প্রায় ২২৫ কোটি রুপি। বিপুল পরিমাণ অর্থ গোনার জন্য প্রায় ৩৫টিরও বেশি ক্যাশ কাউন্টিং মেশিন কাজে লাগান আয়কর দফতরের কর্মকর্তারা। যদিও এই বিপুল পরিমাণ অর্থ গোনার ক্ষেত্রে মেশিনের সংখ্যা নেহাতই নগণ্য, স্বাভাবিকভাবে এই রুপি গুনতে সময়ও লাগছে বেশি।

সর্বশেষ খবর