রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সেই আদম তমিজী হক গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজী হককে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল রাতে তাকে তার গুলশান-২ এর ১১১ নম্বর রোডের ৮ নম্বর বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে দায়ের করা মামলায় আদালত থেকে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা বলেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। এর আগে গত ১৩ নভেম্বর রাতে দেশে ফেরেন আদম তমিজী হক। তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও দেশে আসার ঘোষণা দেওয়ার পাশাপাশি ক্ষমা চান। এরপর ১৬ নভেম্বর আদম তমিজী হকের গুলশানের বাসায় অভিযানে যায় র‌্যাব। তখন তার বাসায় একজন ইউকে নাগরিক ও চতুর্থ স্ত্রী ছিলেন। কিন্তু একপর্যায়ে তিনি ছুরি নিয়ে নিজে সুইসাইড করার হুমকি দেন, জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলেন, এক পা বাইরে দিয়ে লাফ দেওয়ার হুমকি দেন। এমনকি তার স্ত্রীকেও ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তাকে আটক করা হয়নি। র‌্যাব জানায়, আদম তমিজী হকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বরে আদম তমিজী হক ফেসবুকে ঘোষণা করেন, গাজীপুরের একজন প্রতিমন্ত্রী তার ব্যবসা বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা করছেন, তাকে তার ব্যবসার সুরক্ষার জন্য বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে বাধ্য করছেন। তারপরে তিনি ফেসবুকে একাধিক লাইভ করেন। যেখানে তিনি তার পাসপোর্ট পুড়িয়ে দেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। পরে তাকে তার দলীয় পদ থেকে দ্রুত অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ তাকে বরখাস্ত করে। এদিকে নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলার কারণেও ক্ষমা চান আদম তমিজী হক। তিনি বলেন, অতিরিক্ত আবেগের বশবর্তী হয়ে তিনি এমন কাজ করেছেন। যা একদমই উচিত হয়নি। তিনি বাংলাদেশকে অনেক ভালোবাসেন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আদম তমিজী হক লেখেন, ‘সকলের অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে, আমি আদম তমিজী হক ব্যবস্থাপনা পরিচালক, হক গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রি এই মর্মে সকল বাংলাদেশি নাগরিকদের জানাচ্ছি যে, অস্বাভাবিক মানসিক যন্ত্রণা, পারিবারিক কলহ, ব্যবসায়িক সমস্যা সবকিছু মিলিয়ে অস্থিতিশীল মানসিক চাপের মধ্যে অতি আবেগপ্রবণ হয়ে আমি আমার বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলি এবং বলি আমি এই দেশের জন্য যোগ্য না। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন কতটা স্নেহ মায়া মমতা আমার এই দেশ ও দেশের সকল নাগরিকদের জন্য যা আমার বিগত দিনের বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রমাণিত।’ তিনি আরও লেখেন, ‘যাই হোক অতিরিক্ত আবেগের বশবর্তী হয়ে আমার পাসপোর্ট পোড়ানো সঠিক হয়নি। আপনারা সকলে এই বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমি প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশকে অনেক ভালোবাসি।’

সর্বশেষ খবর