রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

জাসদ ও ইইউ প্রতিনিধি দলের বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক

সফররত ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট মিশনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল- জাসদের এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংসদ সদস্য ভবন কমপ্লেক্সে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর ফ্ল্যাটে গতকাল অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে হাসানুল হক ইনু এমপি, সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার এমপি ও কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম উপস্থিত ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিস্থিতি ও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে ইইউ ইলেকশন এক্সপার্ট কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন তাদের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মি. আলেক্সান্ডার ম্যাটুস, লিগ্যাল/হিউম্যান রাইটস বিশেষজ্ঞ মিজ রেবেকা কক্স। তারা সংবিধান, নির্বাচনি আইন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিস্থিতি, জাসদের দলীয় ইতিহাস, অবস্থান ও ভূমিকা, ১৪-দলীয় নির্বাচন জোট ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চান। প্রতিনিধি দলের প্রশ্নের জবাবে হাসানুল হক ইনু বলেন, দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী পরিচালিত একটি প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ। দেশের কোনো ব্যক্তিই সংবিধান ও আইনের ঊর্ধ্বে নন। দেশের বিচার বিভাগ অত্যন্ত শক্তিশালী ও স্বাধীন। সরকার বা নির্বাহী বিভাগ দ্বারা কোনো ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার প্রতিকার পাওয়ার জন্য আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার সুসংরক্ষিত। প্রায়শই নির্বাহী বিভাগ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি প্রতিকার পাওয়ার জন্য আদালতে প্রার্থনা করেন এবং আদালত নির্বাহী বিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেলে নির্বাহী বিভাগের বিরুদ্ধে রায় দিয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, বিএনপি বা জামায়াতের যারা গ্রেফতার হয়েছে বা যারা বিচারিক প্রক্রিয়ায় দন্ডিত হয়েছেন, তারা রাজনৈতিক কর্মী হলেও সর্বজনীন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া, চর্চা, অনুশীলন, সংস্কৃতির বাইরে গিয়ে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতায় যুক্ত হয়েছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ডের সুনির্দিষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত দন্ডাদেশ প্রদান করেছে। তারপরও তাদের নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার অধিকার সুসংরক্ষিত আছে। ইনু বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্য যে, বিএনপি ও জামায়াত স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পথ পরিহার করে সম্পূর্ণ সন্ত্রাসবাদী রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। জামায়াত স্বীকৃত এবং উচ্চ আদালতে প্রামাণিত যুদ্ধাপরাধী দল।

দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের দলের রাজনীতি ও দল করার অধিকার নাই। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দেশের সংবিধান প্রদত্ত ক্ষমতা ও এখতিয়ারের ভিত্তিতে স্বাধীনভাবে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর