সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

লেবাননের তিন গ্রামে ভয়াবহ হামলা ইসরায়েলের

প্রতিদিন ডেস্ক

লেবাননের তিন গ্রামে ভয়াবহ হামলা ইসরায়েলের

ইসরায়েলি বর্বরতার কারণে যখন গাজার মানুষ অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন, তখন ইসরায়েলি বিমান বহর দক্ষিণ লেবাননের তিন গ্রামের ওপর ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়েছে। গতকাল সকাল থেকে এই হামলা চালানো হয়। এতে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। সূত্র : রয়টাস, টাইমস অব ইসরায়েল, আল জাজিরা।

খবরে বলা হয়, গতকাল ইসরায়েল সীমান্ত লাগোয়া লেবাননের দক্ষিণের ইয়ারুন, রমিশ এবং আইতা আল-শাব গ্রামে ভয়াবহ বিমান হামলা চালানো হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা ইসরায়েলি বিমান হামলার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, দক্ষিণ লেবাননে ব্যাপক বিস্ফোরণ ঘটছে। অগ্নিকুন্ডের রূপ নিয়েছে এলাকা। পশ্চিম গ্যালিলি শহরে রকেট এবং ড্রোন হামলার সাইরেন বাজিয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করে কিছুক্ষণ পরই এই বোমা হামলা চলছিল।

গাজার বাসিন্দারা অনাহারে : গাজায় ইসরায়েলি হামলার দুই মাস পার হয়েছে। এর মধ্যে মৃতের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, গাজার অর্ধেক মানুষই অভুক্ত অবস্থায় দিন পার করছেন। এর জের ধরে গাজা পরিদর্শনের পর জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উপপরিচালক কার্ল স্কাউ মন্তব্য করেছেন, ‘গাজার অর্ধেক জনগণ অনাহারে রয়েছেন। গাজায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে নয়জন প্রতিদিন খাবার খেতে পায় না। খাদ্যের গুদামগুলোর সামনে হাজারো ক্ষুধার্ত মানুষকে মরিয়া হয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। ত্রাণ সহায়তার সামান্য অংশ এখন গাজায় প্রবেশ করতে পারছে।’ ইসরায়েলের হামলার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিক হামলায় গাজায় ত্রাণ প্রবেশ করতে পারছে না।’ এ বিষয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিচার্ড হেচট বলেন, ‘কোনো বেসামরিক ব্যক্তির মৃত্যু বেদনাদায়ক, তবে আমাদের কাছে বিকল্প নেই।’ গাজায় যত বেশি সম্ভব ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। এদিকে ইসরায়েল বলছে, হামাসকে নির্মূল করতে এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে তারা গাজায় বিমান হামলা চালিয়েই যাবে। হামাসের দাবি : হামাসের এক পদস্থ নেতা মোহাম্মদ নিজাল বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির পর ইহুদিবাদী সেনাবাহিনীর শতাধিক সদস্য নিহত হয়েছে এবং হতাহতের ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। ফিলিস্তিন ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের এ সদস্য আরও জানান, গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পর গত ৯ দিনে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের আক্রমণে দখলদার ইসরায়েলি শত শত সেনা নিহত হয়েছে। দখলদার সেনারা কল্পনাও করতে পারেনি যে, তাদের এই পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হবে। সামরিক মানদন্ড অনুযায়ী প্রতিরোধ শক্তি এই যুদ্ধে বিজয়ী হিসেবে বিবেচিত বলেও নিজাল মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলি শত্রুদের সঙ্গে আলোচনা কেবল পরিপূর্ণ যুদ্ধবিরতির পরই হতে পারে। তার আগে গাজা থেকে একজন ইসরায়েলি বন্দিও জীবিত বের হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, নেতানিয়াহু যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায় এ জন্য যে, আমেরিকা, ব্রিটেন এবং জার্মানি মনে করে এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতিতে গেলে তেলআবিবের পরাজয় হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর