বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

পি কের অর্থ পাচার মামলায় কলকাতায় শুনানি পেছাল

কলকাতা প্রতিনিধি

পি কের অর্থ পাচার মামলায় কলকাতায় শুনানি পেছাল

বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত পি কে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে কলকাতার আদালতে করা মামলার শুনানি ফের পিছিয়েছে। অভিযুক্তদের টানা ১২৩ দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার পর বুধবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে (ব্যাংকশাল) তোলা হয়।

বহু আলোচিত এ মামলার শুনানি ছিল আদালতের স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩-এর বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে। কিন্তু আদালতের আইনজীবী সমিতির এক সদস্যের মৃত্যুতে বিচারক এদিন বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিত করেন। ১৬ জানুয়ারি পরবর্তী হাজিরার দিন ধার্য করা হয়। গতকাল আদালতে হাজিরা দেন পি কে হালদার, তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার, আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারসহ ছয় অভিযুক্তই। ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের গ্রিনটেক সিটির বৈদিক ভিলেজ নামে একটি বাড়ি থেকে পি কে হালদারকে গ্রেফতার করে ভারতের তদন্তকারী সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি)। এ ছাড়া রাজ্যটির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে পি কে হালদারের আরও পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ওই বছরের ২১ মে ‘অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২’ (PMLA)-এ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। গ্রেফতার হওয়ার পরই আদালতের তরফে দুই দফায় মোট ১৩ দিন পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পর থেকে কয়েক দফায় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন অভিযুক্তরা। সে ক্ষেত্রে পি কে হালদারসহ পাঁচজন অভিযুক্ত রয়েছেন কলকাতার প্রেসিডেন্সি কারাগারে, অন্যদিকে একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে। মায়ের অসুস্থতার কারণে পি কে হালদার জামিনের আবেদন করলেও বিচারক নাকচ করে দেন। অন্যদিকে নিজের শারীরিক অসুস্থতার কারণে জামিন আবেদন খারিজ হয় নারী অভিযুক্ত আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারেরও। ঠিক একইভাবে বিভিন্ন সময় আদালতে জামিন আবেদন খারিজ হয়ে যায় প্রাণেশ হালদারসহ বাকিদের।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর