বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাড়ির উঠানে পড়ল হিমালয়ান গ্রিফন

কক্সবাজার প্রতিনিধি

বাড়ির উঠানে পড়ল  হিমালয়ান গ্রিফন

কক্সবাজারের টেকনাফে বিপন্ন প্রজাতির হিমালয়ান গ্রিফন শকুন উদ্ধার করেছে উপকূলীয় বন বিভাগ, যার ওজন ২০ কেজি। গত সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের ডেইলপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমের বসতঘরের উঠান থেকে শকুনটি উদ্ধার করা হয়। গতকাল বিকালে এটি চকরিয়ার ডুলাহাজারার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে।

টেকনাফ উপকূলীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা বশির আহমেদ খান জানান, সোমবার রাতে একঝাঁক শকুন উড়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ একটি শকুন উড়ে এসে ডেইলপাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলমের বাড়ির একটি গাছে বসে। কিছুক্ষণ পর শকুনটি গাছ থেকে উঠানে এসে পড়ে। এ সময় শকুন দেখতে প্রচুর লোকজন জড়ো হন। বন বিভাগে খবর দিলে তারা শকুনটি উদ্ধার করে উপকূলীয় রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যায়। শকুনটি আহত কিনা তা দেখার জন্য টেকনাফ প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নেওয়া হয়। টেকনাফ উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের উপসহকারী কর্মকর্তা হারাধন চন্দ্র সুশীল বলেন, এটি একটি বিপন্ন প্রজাতির পুরুষ শকুন। বয়স ১৫-২০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। শকুনটির ওজন প্রায় ২০ কেজি। উচ্চতা প্রায় দুই ফুট। দৈর্ঘ্য (পাখা মেলে) ৯ ফুট। কোনো কারণে উড়তে না পারায় এটি দলছুট হয়ে মাটিতে পড়ে গিয়েছিল। তবে পাখিটির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। শকুনটিকে দুটি মুরগির বাচ্চা খেতে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দা মো. আবদুল্লাহ জানান, আগে শীত মৌসুমে শকুন দেখা যেত। তখন গরু-মহিষ ও ছাগল মারা গেলে খোলা মাঠে ফেলে রাখা হতো। দল বেঁধে মরা গরু-মহিষ-ছাগল খেতে আসত শকুন। কিন্তু ২৫-৩০ বছর ধরে এলাকায় আর শকুনের দেখা মেলে না। এ ছাড়া গবাদিপশু মারা গেলে এখন কেউ আর খোলা মাঠে ফেলে রাখে না, মাটিচাপা দেয়। টেকনাফ উপকূলীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা বশির আহমেদ খান বলেন, শকুনটিকে গতকাল বিকালে চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়েছে। এটি মহাবিপন্ন একটি হিমালয়ান গ্রিফন শকুন। এটির বৈজ্ঞানিক নাম Scientifi কক্সবাজারের ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের ইনচার্জ মাজহারুল ইসলাম জানান, বিকালে একটি বিলুপ্তপ্রায় হিমালয়ান গ্রিফন শকুন সাফারি পার্কে নিয়ে আসে টেকনাফ উপকূলীয় বন বিভাগের লোকজন। একে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ১৪ দিন তার সবকিছু নজরদারিতে রাখা হবে। এরপর সে নিজে নিজে চলাফেরা করতে পারছে দেখলে অবমুক্ত করা হবে। চলে না গেলে আমাদের বেষ্টনীতে রেখে খাওয়ানো হবে শকুনটিকে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর