বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ডাকাতি মেয়েকে ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা

‘বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, মোবাইলে খুদে বার্তা দেওয়া হয়েছে। সাড়া দেয়নি। উপরন্তু তার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে। তাই প্রতিশোধ নিতেই দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ডাকাতির পরিকল্পনা নেওয়া হয়।’

খুলনার হরিণটানা কৈয়াবাজার এলাকায় সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি ও তার মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার আসামি গোবিন্দ ফৌজদার জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা স্বীকার করেন। গোবিন্দ ডুমুরিয়ার ফৌজদারপাড়ার সুনীতি ফৌজদারের ছেলে। একই সঙ্গে অভিযানে তার সহযোগী বটিয়াঘাটার চিত্তরঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে মিঠুন বিশ্বাস (৩৫) ও প্রশান্ত ফৌজদারের ছেলে ধীমান ফৌজদারকে (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির স্বর্ণালংকার উদ্ধার ও গোবিন্দের মোবাইল ফোন থেকে মেয়েটিকে বিভিন্ন সময় দেওয়া হুমকির খুদে বার্তা জব্দ করা হয়েছে। গতকাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা জানান। তিনি বলেন, মঙ্গলবার দিন ও রাতে অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে অন্তত দুজন ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। ভুক্তভোগী পরিবার উদ্ধার হওয়া স্বর্ণালংকার ও আসামিদের শনাক্ত করেছে। পুলিশ জানায়, সোমবার গভীর রাতে সাবেক ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বাড়িতে ডাকাতি হয়। রাত ২টা থেকে ৪টার মধ্যে এক তলা ভবনের ছাদের দরজা দিয়ে তিনজন ঢোকে। তারা প্রথমে ছাদের চিলেকোঠায় শিক্ষা কর্মকর্তা ও ঘরের ভিতরে তার স্ত্রীকে চেতনানাশক স্প্রে দিয়ে অজ্ঞান করে। পরে আলাদা কক্ষে তাদের মেয়েকে ওই তিনজন ধর্ষণ করে। এর আগে ২৯ নভেম্বর মেয়েটির আশীর্বাদ হয়। ডাকাতি ও ধর্ষণের সময় তিনজনই মুখোশ পরা ছিল। তবে মেয়েটি গোবিন্দ ফৌজদারের কণ্ঠ চিনতে পেরেছিল বলে পুলিশকে জানায়।

সর্বশেষ খবর