শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়া কুড়িগ্রাম ও দিনাজপুরে

প্রতিদিন ডেস্ক

শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ

দেশের উত্তরাঞ্চল এখন শীতে জবুথবু। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও নিচে। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়া ও কুড়িগ্রামে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

তেঁতুলিয়া : তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ওসি রাসেল শাহ্ জানিয়েছেন, ‘হিমালয়ের কাছে হওয়ায় উত্তর পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে অনেক ঠান্ডা অনুভূত হয় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। ডিসেম্বরের শেষে মাঝারি  শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে তাপমাত্রা এক অঙ্কের ঘরে গিয়ে দাঁড়াবে।’ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সূত্র জানায়, গতকাল সকাল ৯টার দিকে তেঁতুলিয়ায় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি  সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। শীতের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হিমেল বাতাস এবং ঘন কুয়াশা। সন্ধ্যার পর থেকে ভোর পর্যন্ত তীব্র কুয়াশা পড়তে থাকে। দিনের বেলায়ও রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।

কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোর থেকে কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ার কারণে প্রচ- ঠান্ডা বিরাজ করছে। গতকাল সকালে জেলায় স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড  করেছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ বছরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর ফলে জেলার শীতার্ত মানুষের কষ্ট বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে হতদরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষজনের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ছিন্নমূল খেটে খাওয়া মানুষজন কাজে গিয়ে ঠান্ডায় কাতর হয়ে পড়েছেন।

দিনাজপুর : দিনাজপুরে ঘনকুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে শীত জেঁকে বসেছে। প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা। এতে আলু, টমেটোসহ বীজতলা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন কৃষক। বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হচ্ছে। দিনাজপুরে এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি  সেলসিয়াস। গতকাল সকাল ৯টায় জেলায় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ। যে কোনো সময় শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়বে।

দিনাজপুর সদরের শশরার কৃষক আলী আকবর বলেন, ঘনকুয়াশা ও শীতে আলু ও টমেটোসহ চাষে ফসলগুলোতে কুয়াশার প্রভাব পড়লে লেটবাইটসহ নানান রোগের আক্রমণ হয়। শীতের কারণে বোরো বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হচ্ছে। ফসল উৎপাদনেও বেশ ঝুঁকি পোহাতে হয়। উলিপুরের কৃষক মোস্তফা বলেন, এ এলাকায় আলুর ব্যাপক চাষ হয়। শীতের কারণে আলু নিয়ে চিন্তায় আছি। তবে গত দুই দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে, এতে কিছুটা স্বস্তি রয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর