বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

বিনা খরচে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন আরও ৬৫ কর্মী

নিজস্ব প্রতিবেদক

দশম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করা হয়নি নরসিংদীর রায়পুরার জিসান মিয়ার। কর্মজীবনে কী করবেন তা নিয়ে হতাশায় ছিলেন। কিন্তু তার কাছে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ। আর এর জন্য কোনো টাকাই দিতে হয়নি কাউকে। বিনা খরচে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সুযোগ পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন তিনি। কথা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে। তিনিও মালয়েশিয়া যাচ্ছেন। ভিসা প্রসেসিং বা টিকিটিংসহ কোনো কাজেই তার কোনো টাকা লাগেনি। এটি ছিল রাকিবুলের কাছে স্বপ্নের মতোই। শুধু জিসান আর রাকিবুল নয়, সম্পূর্ণ বিনা খরচে ৬৫ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন আজ দুপুর ১২টা ৫ মিনিটের একটি ফ্লাইটে।  চলতি বছরের জুনে শুরু হওয়া ‘জিরো কস্ট মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম’ এর ধারাবাহিকতায় সম্পূর্ণ নিয়োগকর্তার বহনকৃত খরচে এ ৬৫ জন তরুণ কর্মী মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়বেন। এই কর্মীদের কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানাবে মালয়েশিয়ার ইলেকট্র্রনিক্স সামগ্রী প্রস্তুতকারক স্বনামধন্য কোম্পানি ন্যাশনগেট সল্যুশনের কর্মকর্তারা। এর প্রক্রিয়ার সার্বিক তত্ত্বাবধান করেছে রিক্রুটিং এজেন্সি ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল। ১৫০০ রিঙ্গিত বেসিক বেতন ও ন্যূনতম ২ ঘণ্টা ওভারটাইমে একজন কর্মী মাসে আয় করবেন প্রায় ৫৫ হাজার টাকার মতো।

 পাশাপাশি কর্মীর মানসম্মত আবাসন, বীমা, চিকিৎসা ও কল্যাণ নিশ্চিত করবে নিয়োগকর্তা কোম্পানি। গতকাল রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের প্রবাসী কল্যাণ ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়াগামী এই কর্মীদের হাতে স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। এতে আরও বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মীর খায়রুল আলম, ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী বায়রার সাবেক মহাসচিব মোহাম্মদ রুহুল আমিন স্বপন, বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লি. (বোয়েসেল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মল্লিক আনোয়ার হোসেন, বায়রার মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তব্যে সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, বিদেশে কর্মসংস্থানে যেতে টাকা লাগবে না এটাই বাস্তবতা হওয়ার কথা। জনশক্তি নিয়োগকারীকেই খরচ দিয়ে অন্য দেশ থেকে কর্মী আনতে হয়। এটি এখন বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে। এ প্রক্রিয়াকে আমরা অনেক দূর এগিয়ে নিতে চাই। এজন্য আমাদের দেশের রিক্রুটমেন্ট এজেন্সিগুলোকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। আমরা যেন অনৈতিক প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হই না- এ বিষয়টি অনুধাবন করতে হবে। উল্লেখ্য, এর আগে জিরো কস্টে প্র্রথমে ১৯ জন শ্রমিক বিদেশে গেছে। দ্বিতীয় ধাপে গেছে আরও ৩০ জন কর্মী। এ ছাড়াও বিভিন্ন সময় অল্প পরিমাণে কর্মীদের বিনা খরচে পাঠানো হয়েছে। সব মিলে এ পর্যন্ত মোট ৩৮০ জন বিনা খরচে গেছে।

সর্বশেষ খবর