শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

রোমানিয়ার নারী সন্তানসহ বরগুনায়

বরগুনা প্রতিনিধি

রোমানিয়ার নারী  সন্তানসহ বরগুনায়

ইতালিতে বসবাসকারী রোমানিয়ার নারী সিমনা তার পাঁচ বছরের একমাত্র ছেলে দাবিদকে নিয়ে বধূ হিসেবে তার স্বামী নাসির মাতুব্বরের সঙ্গে আমতলী আসার পর আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। রোমানিয়ার নারীকে এক নজর  দেখতে বরগুনার আমতলী পৌরশহরের কালীবাড়ী এলাকায় শত শত মানুষ ভিড় জমায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বজনদের দেখতে হেলিকপ্টারে চেপে বধূ ও ছেলে সন্তান নিয়ে আমতলী পৌরসভা কার্যালয় সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে অবতরণ করলে শত শত উৎসুক জনতা তাদের দেখতে ভিড় জমায়। আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাক্সক্ষীদের উষ্ণ অভ্যর্থনায় অভিভূত হয়ে রোমানিয়ার নারী, আমতলীর বধূ সিমনা উৎসুক জনতাকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান। জানা গেছে, আমতলী পৌর শহরের কালিবাড়ী এলাকার বাসিন্দা সোনা মাতুব্বরের ছেলে নাসির মাতুব্বর ২০ বছর আগে ২০০৩ সালে কাজের সন্ধানে ইতালির উদ্দেশে পাড়ি জমান। জীবনবাজি রেখে চার বছরে তিনি ছয়টি দেশ পাড়ি দিয়ে ২০০৭ সালে ইতালি পৌঁছান। ওইখানে তিনি বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে পার্শ্ববর্তী রোমানিয়ার বাসিন্দা সিমনার সঙ্গে তার দেখা ও পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মন দেওয়া-নেওয়া শুরু হয়। চুটিয়ে চার বছর প্রেম করে ২০১৩ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ভালোই কাটছে তাদের দাম্পত্য জীবন। ২০১৮ সালে ওই দম্পতির কোলজুড়ে দাবিদ নামের এক ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। ইতালি প্রবাসী নাসির মাতুব্বর বলেন, চার বছর জীবনবাজি রেখে ছয়টি দেশ পাড়ি দিয়ে ইতালি গিয়েছি। ওইখানে কাজের সুবাদে সিমনার সঙ্গে দেখা, প্রেম, তারপর প্রণয়। আমরা এখন ভালোই আছি। স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে হেলিকপ্টারে বধূ ও ছেলেকে নিয়ে এসেছি। অল্প দিনের মধ্যেই আবার চলে যাব। প্রবাসী নাসির বর্তমানে ইতালিতে তৈরি পোশাকের ব্যবসা করছেন। রোমানিয়ার নারী আমতলীর গৃহবধূ সিমনা বাংলায় কথা বলতে পারেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের সন্তান নিয়ে খুব সুখে ও ভালোই আছি। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু মোবাইল ফোনে বলেন, প্রবাসী দম্পতি আমতলী এসে পৌঁছানোর পর তাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া  হয়েছে।

সর্বশেষ খবর