সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

অংশগ্রহণ বাড়াতে দায়িত্ব আছে নির্বাচন কমিশনের

------ এলিনা খান

অংশগ্রহণ বাড়াতে দায়িত্ব আছে নির্বাচন কমিশনের

হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেছেন, নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনেরও দায়িত্ব আছে। ইসি যদি বাধ্যতামূলক করে দেয়, তাহলে রাজনৈতিক দল নারী প্রার্থী বাড়ানোর উদ্যোগ নেবে মনে করেন তিনি।

গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে পুরুষ প্রার্থীর তুলনায় লড়ছেন ৫ শতাংশ নারী। নারী প্রতিনিধিত্বের সংখ্যাটা কম কেন- জানতে চাইলে এলিনা খান বলেন, মহিলারা কিন্তু অনেকেই রাজনীতিতে এসেছেন, ভালো অবদানও রাখছেন। সব দলেই ভালো করছেন। তাদের চিন্তাভাবনা-চেতনা আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। তারা রাজনীতিও ভালো বোঝেন। কিন্তু যারা রাজনীতি করছেন তারা ভালো বুঝলেও তাদের যে প্রধান এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যদের কিন্তু মনমানসিকতা পরিবর্তন হয়নি। ভারতে কিন্তু বাধ্যতামূলক বলা আছে, কত শতাংশ মহিলাদের দিতে হবে, নয়তো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।  নির্বাচন কমিশনকে আগে থেকে বাধ্যতামূলক করে বলে দিতে হবে যে, কমপক্ষে এত শতাংশ নারীকে প্রার্থী করতে হবে। যদি সংস্থাটি বলে দিত কমপক্ষে ১৫ শতাংশ নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ করতে হবে, না হলে তারা দেবে না। নির্বাচন কমিশনকেই এ গুরুত্ব উপলব্ধি করে এটা কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। আইন থাকল কিন্তু প্রয়োগ না করলে লাভটা কী- সে প্রশ্নও তিনি রাখেন। এমন কঠোর হলে তখন রাজনৈতিক দলগুলোও আগে থেকে চেষ্টা করবে ওই নির্দিষ্ট সংখ্যক নারীদের রাখতে।

এলিনা খান বলেন, সুষ্ঠু ভোট আমাদের দেশে কমই হয়। অনেকে বলে থাকেন, নারীরা (প্রার্থী) ভোট আনতে পারবে না। আমি মনে করি, যেসব নারী প্রার্থী হয়ে আসছেন সেখানে দল যদি সমর্থন করে সেটা যে দলই হোক তাদের কর্মীরাই কিন্তু তাকে উঠিয়ে আনার চেষ্টা করে। সুতরাং এটি ভ্রান্ত ধারণা যে, নারীরা ভোট আনতে পারবে না। এ ভ্রান্ত ধারণা থেকে আমাদের বের হতে হবে। নারী কর্মীদেরই কিন্তু চাপটা বাড়াতে হবে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে হবে। পাশাপাশি নারী কর্মীদেরও দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনতে হবে। আর এতে নির্বাচন কমিশনেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।

সর্বশেষ খবর