শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
ভুয়া এয়ারলাইনসে নিয়োগ

জামানতের ৩৮ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা

মাহবুব মমতাজী

জাপান বাংলাদেশ নামে একটি ভুয়া এয়ারলাইনস কোম্পানিতে নিয়োগের সময় নেওয়া ৩৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ হয়েছে। ওই এয়ারলাইনসের ২১টি পদের বিপরীতে ৩১৮ জনকে নিয়োগের কথা বলে জামানত হিসেবে নেওয়া হয় ওইসব টাকা।

মানিলন্ডারিংয়ের এ ঘটনায় গত ২ নভেম্বর রাজধানীর গুলশান থানায় একটি মামলা করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক জেহাদ হোসেন। তার এ মামলায় আসামি করা হয়েছে আলিমুল হক ওরফে আলম ফরহাদী এবং জান্নাতুল ফেরদাউস ওরফে বিউটিকে।

পুলিশ পরিদর্শক জেহাদ হোসেন জানান, আলিমুল হক ওরফে আলম ফরহাদী ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ফেনীর দাগনভূঞা

আজিজিয়া মাদরাসায় শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন। এক পর্যায়ে শিক্ষকতা ছেড়ে জেলা শহরে বসবাস শুরু করেন। বেকার যুবকদের চাকরি দেওয়ার নাম করে বিদেশে পাঠানোর নানা প্রতারণায় জড়িয়ে পড়েন। এসব ঘটনায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়েছে। পরে তিনি ঢাকায় এসে আত্মগোপন করেন। স্থানীয়ভাবে ড্রাইভার পেশায় নিয়োজিত তার সহোদর এনামুল হকের নাম ধারণ করেন। ২০১৮ সালে গুলশানের শাহজাদপুরে কনফিডেন্স টাওয়ারে সাবলেট নিয়ে জাপান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস নামে প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। এই ব্যবসায় জান্নাতুল ফেরদাউস বিউটিও অন্তর্ভুক্ত হন।

সিআইডির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, জাপান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিভিন্ন পদে নিয়োগের কথা বলে ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এই বিজ্ঞপ্তির আলোকে চাকরি নিতে এসে প্রতারণার শিকার হন মোহামিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। তার ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় তিনি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে গুলশান থানায় একটি মামলা করেন। মোহামিনুলের মতো নূর এ সালেকিন নামে আরেকজনের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ১৫ লাখ টাকা, নূর মোহাম্মদ তালুকদারের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ১২ লাখ টাকা, নোমান হোসেনের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকা, সুমন শেখের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৭ লাখ টাকা এবং রওশন আলী খানের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে ৬ লাখ টাকা। এভাবে ৩১৮ জন ব্যক্তির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর