চারুকলায় চলছে জয়নুল উৎসব। শিল্পাচার্য জয়নুলের ১০৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় চলমান এ উৎসবে শিল্পানুরাগীদের উপস্থিতি শিল্পের প্রতি ও জয়নুলের প্রতি ভালোবাসা মূর্ত হয়ে উঠেছে। গতকাল ছিল তিন দিনের এ উৎসবের দ্বিতীয় দিন। এদিন বিকালে চারুকলা প্রাঙ্গণে জয়নুল ভক্তদের ভিড় জমে। শিল্পানুরাগীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে অন্যরকম রূপ নেয় উৎসব। মেলায় আগতরা লোকজ পণ্য কেনার পাশাপাশি স্টলে স্টলে গিয়ে সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বেশির ভাগের হাতেই শোভা পেয়েছে হস্তশিল্পীদের তৈরি শোলা ও বেতের শিল্পকর্ম, শীতল পাটি, মাটির টেপা পুতুল, আঁকা ছবি, বায়োস্কোপের বাক্সসহ অনেক কিছু। যেন নগরীর বুকে নেমে এসেছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য। কথা হয় রাজধানীর মালিবাগ থেকে আগত সুমনা ইয়াসমিন সোমার সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতি বছর আমি এ উৎসবে আসি। নাড়ির টানে আর শেকড়ের টানেই আসা। আমাদের বর্তমান প্রজন্ম আমাদের ঐতিহ্য, আমাদের জয়নুল ও আবহমান বাংলার ঐতিহ্য থেকে বিচ্যুত। এ উৎসবের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম ও নাগরিক জীবনের বাসিন্দারা কিছুটা হলেও শেকড়ের দিকে ও ঐতিহ্যের পথে ধাবিত হবে। এ ধরনের উৎসব বেশি বেশি হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। আজ শেষ হবে তিন দিনের এ উৎসব। শুক্রবার সকালে চারুকলার বকুলতলায় এ উৎসবের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। এর আগে জয়নুলের সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে চারুকলা অনুষদ। উৎসবের উদ্বোধনীতে জয়নুল মেলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সম্মাননা প্রদান, শিল্পীদের পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক উৎসব। এ বছর জয়নুল সম্মাননা পেয়েছেন শিল্পী কাজী গিয়াস উদ্দীন ও শিল্পী আবদুস সাত্তার। স্বর্ণপদক পেয়েছেন চারুকলার ভাস্কর্য বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুপ্রিয় কুমার ঘোষ।
উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় ইমেরিটাস প্রফেসর শিল্পী হাশেম খান ও ইমেরিটাস প্রফেসর শিল্পী রফিকুন নবী তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন।