রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পাহাড়ে নৌকার ভোটযুদ্ধে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার চ্যালেঞ্জ

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে নৌকার ভোটযুদ্ধে মন্ত্রিত্ব পাওয়ার চ্যালেঞ্জ

পাহাড়ে শুধু নৌকার জয় নয়। মন্ত্রিত্ব নিয়ে চ্যালেঞ্জে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। তারা হলেন রাঙামাটি-২৯৯ নম্বর আসনের দীপংকর তালুকদার, বান্দরবান ৩০০ নম্বর আসনের বীর বাহাদুর উশৈ সিং ও খাগড়াছড়ি ২৯৮ নম্বর আসনের প্রার্থী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুর।

ভোটের লড়াইয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এসব আসনের নৌকার প্রার্থীরা। কারণ নির্বাচনে অংশ নিলেও মাঠে নেই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তাই খালি মাঠে গোল দিতে চলেছেন নৌকার প্রার্থীরা। নির্বাচনের আগেই এমন খবরে জমজমাট তিন পার্বত্য জেলা। আনন্দে নৌকার প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা অনেকটা উৎসবে পরিণত হয়েছে। রাতদিন হাটবাজার সবখানে শুধু নৌকার জমজমাট প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দলীয় প্রার্থী ও কর্মীরা। গণসংযোগ, সমাবেশ ও মিছিল স্লোগান আর উঠান বৈঠকেও প্রচারণা চালাছেন তারা। ভোটারদের দিয়ে যাচ্ছেন উন্নয়নের আশ্বাস। সবকিছুকে ছাপিয়ে আছে মন্ত্রিত্ব লাভের প্রতিযোগিতা। তাই ভোট যুদ্ধের সঙ্গে ¯œায়ু যুদ্ধেও রয়েছেন তিন পার্বত্য জেলার নৌকার প্রার্থীরা। নৌকা প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জকে ছোট করে দেখছে না ভোটারাও। যার যার এলাকার প্রার্থীকে জয়ী করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তারা। এরই মধ্যে বিএনপির অনেক কর্মীও নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে প্রচারণার মাঠে নেমেছেন। একইভাবে সমর্থন এসেছে জাতীয় পার্টি থেকেও। ভোট যুদ্ধের এই প্রেক্ষাপটে কে হবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী- তা নিয়েও চলছে আলোচনা। রাঙামাটি ২৯৯ নম্বর আসনে দীপংকর তালুকদার পঞ্চম, সপ্তম, নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। একইভাবে এগিয়ে বান্দরবান ৩০০ নম্বর আসনের বীর বাহাদুর উশৈ সিং। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ভোট যুদ্ধে জয়ী হয়ে ওই আসনটি ধরে রেখেছেন বীর বাহাদুর। যার কারণে তিনি ২০১৮ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রিত্ব লাভ করেন। তবে পিছিয়ে নেই খাগড়াছড়ি ২৯৮ নম্বর আসনের কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তাই সরকারের কাছে ইমেজ ঠিক রাখতে এবারও আসনটি ধরে রাখতে চান তিনি। রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুছা মাতব্বর বলেন, পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি হচ্ছেন রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার। শান্তিচুক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে সম্প্রীতি তৈরি করতে দীপংকর তালুকদার যে ভূমিকা রেখেছেন পাহাড়ে ক্ষমতায় এসে আর কোনো নেতা তা করেনি। তাই পাহাড়ের মানুষ ভোটের লড়াইয়ে সঠিক ব্যক্তিকে বেছে নেবেন।

সর্বশেষ খবর