শিরোনাম
সোমবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
আসকের তথ্য

রাজনৈতিক সংঘাতে ৪৫ প্রাণহানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৩ সালে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংঘাতে দেশে কমপক্ষে ৪৫ জনের প্রাণহানি এবং আরও ৬ হাজার ৯৭৮ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন খবর পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। গতকাল সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘২০২৩ সালে মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ভিত্তিক বিবরণ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সল। উপস্থিত ছিলেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না। লিখিত বক্তব্যে ফারুখ ফয়সল বলেন, ২০২৩ সালে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংঘাতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৫ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৬ হাজার ৯৭৮ জন। অথচ রাজনীতি বা সংগঠন করার অধিকার এবং শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ বা সভা-সমাবেশ আয়োজন একটি সংবিধানসম্মত অধিকার। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশে এ অধিকার চর্চার ক্ষেত্র ক্রমেই সংকুচিত হয়ে পড়ছে। তিনি বলেন, সংবিধান স্বীকৃত এ অধিকার নির্বিঘ্নে চর্চা নিশ্চিত করাই হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব, অথচ তাদের দ্বারাই সভা-সমাবেশ ও র‌্যালিতে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ হচ্ছে। অন্যদিকে জনগণকে জিম্মি করে বাসে-ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা এবং রেললাইন কেটে নাশকতা সৃষ্টি কোনো রাজনৈতিক কর্মকান্ড হতে পারে না। সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে, তাদের জান-মালের ক্ষতি করে, বা রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করার যে প্রবণতা তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, এ বছর বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা, গায়েবি মামলা, হামলা, গণগ্রেফতার, পরিবহন ধর্মঘট ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের ঘটনা ঘটেছে। ফলে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি জনদুর্ভোগও তীব্রতর হয়েছে। একই সঙ্গে গণপরিবহনের অপ্রতুলতা, যাতায়াতব্যবস্থার বেহাল দশা সাধারণ মানুষের ভোগান্তিকে বহু গুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের প্রতিবেদন উপস্থাপন করে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ২৪১টি যানবাহন ভাঙচুর করা হয়েছে। একই সময়ে ৩৭৬টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শুধু রাজধানীতেই ১২৩টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তিনটি ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রেললাইন কেটে যাত্রীবাহী ট্রেনকে দুর্ঘটনায় ফেলার ঘটনাও ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন নিহত এবং কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, চলতি বছর সারা দেশে ধর্ষণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৫৭৩ জন। এর মধ্যে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছেন ৩৩ জন এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন পাঁচজন।

সর্বশেষ খবর