মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

গাজীর বিরুদ্ধে ইসিতে জাপা প্রার্থীর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। অভিযোগে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা এলাকার সাধারণ ভোটারদের হুমকি ও মামলার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে ভোটের পর গুম-খুনের হুমকি দিচ্ছে। জমি ও বাড়ি দখল করে এলাকাছাড়া করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। গতকাল নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে জাপার লাঙল প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর এসব অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাপা মনোনীত প্রার্থী হিসেবে লাঙল প্রতীকে অংশ নিয়েছি। নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে প্রচারে মাঠে নেমেছি। কিন্তু সাধারণ ভোটার ও কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচারে অংশ নেওয়ায় পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছি। স্থানীয় সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীরা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সময় এবং প্রচার শেষে কর্মীরা বাড়ি ফেরার পথে বিভিন্ন স্থানে হামলা করছে। তারা নারী কর্মীদের আক্রমণ করছে। ভোটের পর গুম-খুনের হুমকি দিচ্ছে। জমি ও বাড়ি দখল করে এলাকা ছাড়া করা হবে বলেও হুমকি দিচ্ছে। লাঙল প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। পুনরায় লাগাতে গেলে কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা থানায় গেলে অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো যারা সন্ত্রাসী তাদের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সাধারণ ভোটারদের ও ভুক্তভোগীদের হয়রানি করছে।’ তিনি বলেন, ‘গোলাম দস্তগীর গাজী প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পুলিং অফিসারদের বাড়িতে আসতে বাধ্য করা হচ্ছে। কিন্তু কিছু সৎ অফিসার তার কাছ থেকে টাকা নিতে অনীহা প্রকাশ করলে প্রতিপক্ষের লোক হিসেবে চালিয়ে দিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখাচ্ছেন। নির্বাচনের পর তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে বলে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। এসব ঘটনা রূপগঞ্জের ভোটের মাঠে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।’ এই প্রার্থী আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে এলাকার সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করছেন রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও রংধনু গ্রুপের মালিক রফিকুল ইসলাম। তিনি শুধু হুমকিই নয়, আমার কর্মীদের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালাচ্ছেন। সার্বিক বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টো কর্মী-সমর্থকদের ভয় দেখানো ও মিথ্যে মামলায় জড়ানো হচ্ছে। প্রকাশ্যে নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের অভিযোগ না নিয়ে উল্টো রাতের বেলা তাদের বাড়িতে গিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখাচ্ছে মন্ত্রী গাজীর সন্ত্রাসীরা। এভাবে চলতে থাকলে নির্বাচন বর্জন করতে হবে।’

সর্বশেষ খবর