বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
সিটিটিসিপ্রধান

নির্বাচন কেন্দ্র করে জঙ্গি হামলার ঝুঁকি নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে কোনো ধরনের জঙ্গি হামলা বা তাদের তৎপরতা কিংবা কোনো ঝুঁকি দেখছি না। তিনি বলেন, আমাদের জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দুই দিন আগেও আমরা একটি সংগঠনের মূল ব্যক্তিসহ অপারেশনাল কমান্ডারকে গ্রেফতার করেছি, যারা নতুন করে সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা করছিল। এ মুহূর্তে জঙ্গি হামলার কোনো ঝুঁকি নেই, জঙ্গিদের সেই সক্ষমতাও নেই। বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র‌্যাব) আয়োজনে এবং ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের সহযোগিতায় সংগঠনের সদস্য ও পরিবারের জন্য ফ্রি মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল ক্যাম্প উদ্বোধন শেষে গতকাল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব বলেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ ফ্রি মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল ক্যাম্প করা হয়। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন অধ্যাপক ডা. এম ফখরুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন ক্র‌্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, স্বাগত বক্তব্য দেন ক্র‌্যাব সাধারণ সম্পাদক মামুনূর রশিদ। অনুষ্ঠানে সিটিটিসিপ্রধান আসাদুজ্জান বলেন, ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হচ্ছে। এ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় সে লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ কাজ করছে। ঢাকা মহানগরে যেসব সংসদীয় আসন আছে, কোথাও কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। প্রার্থীরা নির্বিঘ্নে ও নিরাপদে তাদের প্রচার চালাচ্ছেন। আমরা আশাবাদী কিছু ঘটবে না এবং পুলিশের সে রকম প্রস্তুতিও রয়েছে। যে কোনো ধরনের অরাজকতা, নাশকতা ঠেকাতে ও প্রতিরোধে সক্ষমতা রয়েছে পুলিশের। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোট দেওয়া জনগণের সাংবিধানিক অধিকার। সে অধিকার প্রয়োগে যাতে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে না পারে, জনগণ যাতে নিরাপদ ও নির্ভয়ে কেন্দ্রে আসতে পারে সেজন্য ডিএমপির সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। আসাদুজ্জামান বলেন, পুলিশের কাজ যেমন ঝুঁকিপূর্ণ, ক্রাইম রিপোর্টারদের কাজটিও ঝুঁকিপূর্ণ। সে কাজটি কীরকম ঝুঁকিপূর্ণ তা ২৮ অক্টোবর আমরা সবাই প্রত্যক্ষ করেছি। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক সাংবাদিক আহত হয়েছিলেন। তাদের নির্দয়ভাবে পেটানো হয়েছিল। পুলিশের কাজ ঝুঁকিপূর্ণ হলেও পুলিশের প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট থাকে, কিন্তু সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে তা নেই। সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় শক্তি মানসিক সাহস, পেশার প্রতি কমিটমেন্ট এবং পেশাগত প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতামূলক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে প্রত্যেক সদস্যের কাজ ঝুঁকিপূর্ণ। ক্র‌্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল বলেন, দিনরাত পরিশ্রমের কারণে ক্রাইম রিপোর্টাররা স্বাস্থ্য থেকে বিমুখ থাকেন। বড় কোনো অসুস্থতা দেখা না দিলে ক্রাইম রিপোর্টাররা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন না। আজকের এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে সাংবাদিকরা উপকৃত হবেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়ন অধ্যাপক ডা. এম ফখরুল ইসলাম বলেন, সাংবাদিকদের পাশে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত। আগামীতেও ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতাল সব সময় সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের পাশে থেকে চিকিৎসাজনিত সেবা দিয়ে যাবে।

সর্বশেষ খবর