শনিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
ভোটের চ্যালেঞ্জ কোথায়

বিএনপির হরতাল নির্বাচনে কোনো চ্যালেঞ্জ নয়

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক

নাসিমুল হুদা, ঢাবি

বিএনপির হরতাল নির্বাচনে কোনো চ্যালেঞ্জ নয়

ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো হরতাল ডেকেছে। কিন্তু জনসম্পৃক্ততা না থাকায় তা নির্বাচনে কোনো চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

তিনি বলেন, বিএনপি বাধা সৃষ্টি করার জন্য হরতাল ডেকেছে। অতীতেও তারা হরতাল দিয়েছে, অবরোধ দিয়েছে, অসহযোগের কথা বলেছে, কিন্তু কোনোটির সঙ্গেই জনগণ সম্পৃক্ত হয়নি। জনগণ তাদের স্বাভাবিক জীবন-যাপন প্রক্রিয়ায় কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি হোক, তা চায় না। সেদিক থেকে মনে হয়, এই হরতাল নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় কোনো চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারবে না। তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গায় নাশকতামূলক কার্যক্রম করা, ভোট কেন্দ্র আক্রমণ করা, পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে, নির্বাচন সামনে রেখে তারা (বিএনপি) তাদের কার্যক্রম কেন্দ্রীভূত করছে। এটি কোনোভাবেই গণতান্ত্রিক রীতিনীতির সঙ্গে খাপ খায় না। বরং গণতান্ত্রিক রীতিনীতির পরিপন্থি কাজ। এরকম সন্ত্রাস তৈরি করে নাগরিকদের ভোটদানের মৌলিক অধিকার এবং সাংবিধানিক অধিকার চর্চায় বাধা দেওয়া অপরাধ। তাদের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক এ শিক্ষক বলেন, হরতাল-অবরোধ যারা ডাকছে, তাদের ষড়যন্ত্রের ফলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানারকম অপপ্রচার ও অপতথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সাধারণ নাগরিক, বিশেষ করে যারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন, তাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ভোটার উপস্থিতি নিয়ে কোনো চ্যালেঞ্জ দেখেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেন, এবার আমরা তীব্র প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করছি। কারণ, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠে প্রার্থীরা আছেন, এ ছাড়াও আওয়ামী লীগেরই নেতা-কর্মী যারা এলাকায় নিজেদের জনপ্রিয় মনে করেন, তারা দলের অনুমোদন নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। বৃহত্তম ও প্রাচীনতম দল আওয়ামী লীগের ভোটের অভ্যন্তরীণ যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, সেটাও আছে। আবার অন্য দল তো আছেই। এবারের নির্বাচনে সর্বোচ্চসংখ্যক ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী আছেন, এর মধ্যে ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। প্রত্যেক প্রার্থীই তো এলাকায় জনপ্রিয়। তারা যদি তাদের সমর্থকদের প্রণোদিত করতে পারেন, তারা ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে আসবেন। আমার মনে হয়, এবার ভোটার উপস্থিতিও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাবে। নির্বাচনে সহিংসতার ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দেন এ রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তিনি বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচনের সময় কিছু কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটে। স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনি উত্তেজনার কারণে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। যদি নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিবিড়ভাবে এগুলো পর্যবেক্ষণ করে এবং আইনের আওতায় নিয়ে আসে, তাহলে এ বিষয়গুলোকে খুব সহজেই দমন করা যাবে। এটা কোনো চ্যালেঞ্জ নয়। তবে দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর