শনিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

শিল্পকলায় ‘খনা’

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিল্পকলায় ‘খনা’

পৌষের শীতের সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন হলো বটতলা প্রযোজিত নাটক ‘খনা’। গতকাল একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় নাটকটি। সামিনা লুৎফা নিত্রা রচিত এই নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন মোহাম্মদ আলী হায়দার। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সামিনা লুৎফা নিত্রা, ইমরান খান মুন্না, কাজী রোকসানা রুমা, ইভান রিয়াজ, তৌফিক হাসান, শেউতি শাগুফতা, মিজানুর রহমান, সুমিত তেওয়ারি রানা প্রমুখ।

‘খনা’ কাহিনিতে এক বিদুষী ‘খনা’ নাম লীলাবতী। গল্পটা অনেক পুরনো, কিংবদন্তির ঘেরাটোপে বন্দি। তবু যে তিনি এক বিদুষী জ্যোতিষী, স্বামী মিহিরও একই বৃত্তিধারী। শ্বশুর যশস্বী জ্যোতিষী বরাহ মিহির। পুত্রজায়ার যশ, খ্যাতি ও বিদ্যার প্রভাব দেখে বরাহের হীনমন্যতা ও ঈর্ষা। শ্বশুরের নির্দেশে লীলাবতীর জিহ্বা কর্তন ও তার ‘খনা’ হয়ে ওঠার গল্প পেরিয়েছে প্রজন্মের সীমানা। খনার বচনের মাঝে টিকে থাকা শত বছরের আগের জল, মাটি, ফসল আর মানুষের গন্ধমাখা জ্ঞান আর সত্যটুকু কি সত্যি লীলাবতীর? নাকি এ সত্য-তথ্য সবই এ ভূখণ্ডের বৃষ্টি, পলি, আর জল হাওয়ার সঙ্গে মিশে থাকা যুগান্তরের সামষ্টিক জ্ঞানের সংকলন? লীলাবতী শুধুই কি একজন নারী বলে তার পরিণতি নির্মম? নাকি তিনি নারী হয়ে মিশেছিলেন চাষাভুষার সঙ্গে, সেই তার কাল। পুরুষতন্ত্র না শ্রেণি কাঠামো, নাকি উভয়ই দাঁড়ায় লীলাবতীর বিপ্রতীপে। মিহির বা প্রাকৃত লোকালয় কারও পরোয়া না করা জীবনত্যাগী নেশার ঘোর তাকে নিয়ে যায় দিগন্তের ওপার। খনার সত্য শুধু থেকে যায় কৃষকের মুখে। খনা নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করেন। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকটির কাহিনি।

 

 

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর