রবিবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

আসল লড়াই ৯৫ আসনে

নৌকাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা

রফিকুল ইসলাম রনি

আসল লড়াই ৯৫ আসনে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আজ। মাঠের বিরোধী দল বিএনপি আজকের নির্বাচন বর্জন করেছে। দেশের ২৮টি রাজনৈতিক দল এতে অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন ২৬৪ জন। বর্তমান একাদশ জাতীয় সংসদের আওয়ামী লীগদলীয় সদস্যদের মধ্যে অনেকেই মনোনয়ন পাননি। এই মনোনয়নবঞ্চিতদের মধ্যে ১৭ জন এমপি নৌকার বিরুদ্ধে লড়ছেন। এ ছাড়া ১২৮ জন আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নৌকার বিরুদ্ধে লড়ছেন। সারা দেশে ২৯৯ আসনে ভোট হলেও মূল লড়াইয়ের আভাস মিলেছে ৯৫ আসনে। এসব আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী বনাম আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থীর সঙ্গে। প্রচার-প্রচারণার শুরু থেকেই এসব আসনে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মেলে। তুমুল প্রতিযোগিতা হবে, এমন আসনগুলোর মধ্যে রয়েছে- রংপুর বিভাগের ৩৩টি আসনের মধ্যে ১২টি, রাজশাহী বিভাগের ৩৯ আসনের মধ্যে ১৫টি, খুলনা বিভাগের ৩৬ আসনের ৬টি, বরিশাল বিভাগের ২১ আসনের মধ্যে ১০টি, ঢাকা বিভাগের ৭০ আসনের মধ্যে ২৮টি, ময়মনসিংহ বিভাগের ২৪ আসনের ৭টি, সিলেট বিভাগের ১৯ আসনের মধ্যে ৯টি এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ৫৮ আসনের মধ্যে ১৯টিতে। ঢাকা-১ আসনে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ২০১৪ সালের জয়ী সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। ঢাকা-৪ আসনে নৌকা পেয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক এমপি সানজিদা খানম। এখানে ত্রিমুখী লড়াই হবে। জাতীয় পার্টির বর্তমান এমপি আবু হোসেন বাবলা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব ড. মো. আওলাদ হোসেনের। ঢাকা-৫ আসনে নৌকা পেয়েছেন যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মুন্না। দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক এমপি মরহুম হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান সজল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন। এখানে তুমুল লড়াই হবে। ঢাকা-১৮ আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ায় এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নেই। প্রথমবারের মতো জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়েছেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরিফা কাদের। কিন্তু এখানে শক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. খসরু চৌধুরী। ঢাকা-১৯ আসনে নৌকার প্রার্থী দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মো. তৌহিদ জং (মুরাদ জং)।

ফরিদপুর-১ আসনটিতে আওয়ামী লীগই সবচেয়ে শক্তিশালী। দুবারের এমপি আবদুর রহমান নৌকার প্রার্থী হয়েছেন। এবার বিএনএম-এর প্রার্থী হয়েছেন শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর। আওয়ামী লীগ নেতা, সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলনও স্বতন্ত্র প্রার্থী। এখানেও ত্রিমুখী লড়াই হবে। ফরিদপুর-২ আসনে এবারও নৌকা পেয়েছেন সাবেক সংসদ উপনেতা প্রয়াত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবু। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক এবং বসুন্ধরা গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন মিয়া। চরম লড়াই হবে এখানে। ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এ কে আজাদ। ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন) দুবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। দুবারই তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী জাফরউল্লাহকে হারিয়েছেন। এবারও তার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে জাফরউল্লাহকে। মাদারীপুর-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান মিয়া গোলাপের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা বেগম। এখানে চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলেছে। কিশোরগঞ্জ-২ আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল কাহার আকন্দের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেনের ত্রিমুখী লড়াই হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে নৌকার প্রার্থী বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। তার সঙ্গে তীব্র লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানের। কুমিল্লা-৪ আসনের বর্তমান এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের সঙ্গে চরম লড়াই হবে সদ্য পদত্যাগী দেবীদ্বার উপজেলা চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের। কুমিল্লা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল হাসেম খান। তার সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের। কুমিল্লা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। এ আসনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন একাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি আঞ্জুম সুলতানা সীমা। এই দুজনের মধ্যে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা রয়েছে। কুমিল্লা-১১ আসনে নৌকার প্রার্থী সাবেক রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক। এখানে লড়াই হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমানের।

নোয়াখালী-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম। এ আসনে স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। মানিক প্রার্থী হিসেবে নতুন হলেও মোরশেদের সঙ্গে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ ইবরাহিম বীরপ্রতীকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের। জাফর আলম বর্তমানে আওয়ামী লীগের এমপি। দিনাজপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হুইপ ইকবালুর রহিম। তার প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বজিৎ কুমার ঘোষ। ইকবালুর রহিম প্রবল প্রভাবশালী হলেও বিশ্বজিৎ ঘোষ ভালো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেন।

রাজশাহী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন দলের বর্তমান সংসদ সদস্য এনামুল হক। তিনি বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং তিনবার জয়ী সংসদ সদস্য। রাজশাহী-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হানুল হক ঠান্ডু। রায়হানুলের সঙ্গে শাহরিয়ারের তীব্র লড়াই হবে। সিরাজগঞ্জ-৫ আসনে সাবেক এমপি মরহুম আবদুল মজিদ ম লের সন্তান বর্তমান এমপি আবদুল মমিন ম ল এবারও নৌকার প্রার্থী। কিন্তু সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল লতিফ বিশ্বাস এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। বিএনপির সাবেক এমপি আনসার আলী সিদ্দিকীর ছেলে মেজর (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুনও স্বতন্ত্র প্রার্থী। এ আসনে মমিন ম লের সঙ্গে লতিফ বিশ্বাসের তুমুল লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

পিরোজপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম এ আবদুল আউয়াল। বরগুনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। তার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন একই দলের আরও তিন নেতা গোলাম সরোয়ার টুকু, খলিলুর রহমান ও গোলাম সরোয়ার ফোরকান। এর মধ্যে ফোরকান আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। এই আসনে শম্ভুর সঙ্গে ফোরকানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। চাঁদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুহাম্মদ শফিকুর রহমান। তার প্রতিপক্ষ বিএনএম প্রার্থী ড. মোহাম্মদ শাহজাহান। স্বতন্ত্র প্রার্থী জালাল আহমেদ, সিআইপি ড. শামসুল হক ভূঁইয়া এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহসভাপতি আবদুল কাদির তালুকদার। এখানে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা আছে। বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-২ আসনে নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান। এ আসনে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য গণফোরামের মোকাব্বির হোসেন।

লাঙল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া চৌধুরী। এর বাইরে আরও তিনজন প্রার্থী আছেন। তবে এ আসনে মূল লড়াই হবে নৌকা ও লাঙল প্রতীকের মধ্যে। এ আসনে মোকাব্বির হোসেনও কিছু ভোট টানবেন। সিলেট-৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা, তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সরোয়ার হোসেন। ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা আছে এখানে। জামালপুর-২ আসনে (ইসলামপুর উপজেলা) আওয়ামী লীগের প্রার্থী ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা জিয়াউল হক ও সাজাহান আলী মণ্ডল। এখানে জাতীয় পার্টির মোস্তফা আল মাহমুদ রয়েছেন। ত্রিমুখী একটা লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গাজীপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম। চাঁদপুর-৩ আসনে (সদর ও হাইমচর) শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি নৌকার প্রার্থী। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শামছুল হক ভূঁইয়া। তার পক্ষে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের একাংশ। আরেকাংশ দীপু মনির পক্ষে। নরসিংদী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোহরদী উপজেলা পরিষদের পাঁচবারের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খান। নেত্রকোনা-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান।

তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তার সঙ্গে এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী ফুটবলার আরিফ খান জয়। নাটোর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিংড়া উপজেলা পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম। হবিগঞ্জ-৪ আসনে (চুনারুঘাট ও মাধবপুর) আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সাবেক যুবলীগ নেতা ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। গাজীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আলিম উদ্দিন ও যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম। মেহেরপুর-১ আসনে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর