‘বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে শিখেছি কীভাবে মানুষকে ভালোবাসতে হয়। মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ বছরের ইতিহাসে একবার ডাকসুর ভিপি ও দুবার জিএস ছিলাম। একবার সংসদ সংদস্য ছিলাম। জেলা পরিষদের প্রশাসক ও চেয়ারম্যান ছিলাম। এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জনগণের ভালোবাসা পেয়ে বিজয়ী হলাম। দীর্ঘদিন রাজনীতি করি। জীবনের সব অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে জনগণের সেবা করে যাব। জাতীয় সংসদে জনগণের কথা বলব। নির্বাচনি এলাকার সব সমস্যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের চেষ্টা করব । আমি আমার নির্বাচনি এলাকার মানুষের কাছে এমপি হিসেবে নয়, তাদের প্রিয় আখতারউজ্জামান হিসেবে বেঁচে থাকতে চাই।’ কথাগুলো বলছিলেন গাজীপুর-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. আখতারউজ্জামান। তাঁর বিজয়ের মূল্যায়ন, জাতীয় সংসদে মানুষের কথা কীভাবে তুলে ধরবেন এবং তাদের জন্য কী কাজ করবেন তা তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বিস্তারিত বলেছেন। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারউজ্জামান বলেন, ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় আমার এলাকার মানুষের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। আমি জনগণের কথা সংসদে তুলে ধরব। জাতীয়, রাষ্ট্রীয় নীতিতে আমার মতামত যথাযথভাবে সংসদে তুলে ধরব। আমি আমার নির্বাচনি এলাকার দুঃখ-দুর্দশা দেখেছি। সে কারণে শিক্ষার ক্ষেত্রে, রাস্তাঘাট উন্নয়নের ক্ষেত্রে, মসজিদ মাদরাসা উন্নয়নের চেষ্টা করব।
ভবিষ্যতে আমাদের যুবসমাজকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে কম্পিউটার ট্রেনিং এবং বিভিন্ন ট্রেডে স্কিল ট্রেনিংয়ের মধ্য দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমার নির্বাচনি এলাকার কাজগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করে নেব। কিছু কাজ জরুরি ভিত্তিতে করার চেষ্টা করব। আর অন্যান্য কাজগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করার জন্য একটা মাস্টারপ্ল্যান করব। সর্বোপরি আমি আমার নির্বাচনি এলাকাকে শান্তিপূর্ণ এলাকায় পরিণত করব। নিজের ছাত্র রাজনীতির ইতিহাস তুলে ধরে গাজীপুর জেলা পরিষদের এই সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির জীবনে দুবার ডাকসুর জিএস, একবার ভিপি ছিলাম। দীর্ঘদিন ধরে স্বচ্ছ রাজনীতির সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছি। সামগ্রিক কারণেই মানুষ আমাকে বিশ্বাস করে। আমার প্রতি মানুষের বিশ্বাস ও সম্মান আছে। আমিও আমার এলাকার জনগণকে সম্মান করি। এগুলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে শিখেছি- মানুষকে কীভাবে ভালোবাসতে হয়। জনগণকে কীভাবে খেদমত দিতে হয়। সেই কারণে মানুষ আমার প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করেছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারউজ্জামান বলেন, আমি আমার নির্বাচনি এলাকাতে মুক্তিযুদ্ধ করেছি। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের সদস্য ছিলাম এবং আমার কাজকর্ম সম্পর্কে সাধারণ জনগণ অবহিত আছেন যে, আমি কাজ করতে পারি এবং আমি যে কথা বলি সেটা কার্যকরী করতে পারি। আমি একজন ক্লিন ইমেজের রাজনৈতিক কর্মী । মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলি। সাধারণভাবে চলতে আমি খুব পছন্দ করি।