বুধবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

আখ চাষিদের মুখে হাসি

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

আখ চাষিদের মুখে হাসি

চন্ডীমুড়া। কুমিল্লার লালমাই, সদর দক্ষিণ ও বরুড়া উপজেলার সংযোগস্থল। চন্ডীমুড়া মন্দির ঘেঁষে ২০০ গজ সামনে সদর দক্ষিণ উপজেলার বড় ধর্মপুর। এখানে ছোট বড় কয়েকটি লাল রঙের পাহাড় মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে।   

দুইটি পাহাড়ের মধ্যে সমতলে চাষ হয়েছে আখ। সেই আখ পাশের জমিতে মেশিন লাগিয়ে মাড়াই করা হচ্ছে। চুলায় ফোটানো হচ্ছে আখের রস। মিষ্টি গন্ধ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিদিন এ দৃশ্য ধর্মপুরের। এখন আখ চাষিদের মুখে হাসি ফুটে উঠছে। সরেজমিন দেখা যায়, ভোর থেকে কর্মব্যস্ত সবাই। কেউ আখ কাটছেন। কেউ মেশিনে আখ ঢুকিয়ে রস বের করছেন। কেউ চুলা জ্বালিয়ে রস ফোটাচ্ছেন। ঠান্ডা করা তরল গুড় কেউ বোতলে ভরে মেপে দিচ্ছেন। জিবে পানি আনা গুড় কিনতে দুপুর ১২টার পর সেখানে ক্রেতাদের লাইন পড়ে। কেজি ২৫০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে সোনালি আখের গুড়। শ্রমিকদের সঙ্গে ব্যস্ত দেখা যায়, উদ্যোক্তা আলী নেওয়াজ ও সহ উদ্যোক্তা শামছুল হককেও।

গুড় তৈরির কারিগর রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আট খুনিয়া গ্রামের কবিরুল ইসলাম বলেন, ১৫ বছর ধরে আখ মাড়াই করি। আমরা এ টিমে চারজন আছি। দেশের বিভিন্ন স্থানে এ কাজ করি। মেশিন চালানো ছাড়া ফসলের জমি পরিচর্যা, আখের রস ফোটানোসহ সব কাজ করি। উদ্যোক্তা আলী নেওয়াজ বলেন, ২০-২২ বছর আগে এই এলাকায় গুড় বানানোর আখের চাষ হতো। তখন গরু দিয়ে মাড়াই করা হতো। গত বছর কুমিল্লা সদরের সীমান্ত এলাকা থেকে আখের চারা এনে লাগিয়েছি। ফলন ভালো হয়েছে। নাটোর থেকে ২ লাখ টাকা দিয়ে আখ মাড়াইয়ের মেশিন এনেছি। মানুষকে ভেজালমুক্ত গুড় দিতে পেরে ভালো লাগছে। স্থানীয় উপসহকারী কর্মকর্তা এম এম শাহরিয়ার ভূঁইয়া ও সদর দক্ষিণ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির খান বলেন, আলী নেওয়াজ উদ্যোমী কৃষক। তাকে আখ চাষে আমরা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি। তার ফলন ভালো হয়েছে। তাকে দেখে পাহাড়ের পতিত জমিতে অন্য কৃষকরাও এ ফসল চাষ করে লাভবান হবেন বলে আশা করি।

 

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর