বুধবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

নেতা-কর্মীদের নিয়ে থানা ঘেরাও অবরোধ লতিফ সিদ্দিকীর

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের নির্বাচনি সহিংসতা মামলার আসামিকে ছাড়াতে কালিহাতী থানা ঘেরাও ও টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন সদ্য নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী ও তার কর্মী-সমর্থকরা। এ ঘটনায় সড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। গতকাল দুপুর ১টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত অবরোধ করে রাখা হয়। খবর পেয়ে বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম কালিহাতী থানায় আসেন। তার সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তাদের ফলপ্রসূ আলোচনা শেষে পুলিশ দুজন এজাহারভুক্ত আসামিকে রেখে অন্য চারজনকে ছেড়ে দিলে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেন। পরে বেলা সাড়ে ৩টায় যানবাহন চলাচল শুরু হয়। জানা যায়, সংসদ নির্বাচনের পরের দিন কালিহাতীর নাগবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুমের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। আবদুল কাইয়ুম আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোজাহারুল ইসলাম তালুকদারের অনুসারী। এ ঘটনায় ওইদিন কয়েকজনের নামে ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় মামলা করা হয়। মামলার পর কালিহাতী থানা পুলিশ মনির সওদাগর ও লাট মিয়া নামের দুজন এজাহারভুক্ত আসামিসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার সবাই লতিফ সিদ্দিকীর অনুসারী। তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে নির্বাচন করেন। গতকাল দুপুরে লতিফ সিদ্দিকীর অনুসারী সাবেক চেয়ারম্যান হাসমত আলী ও তার ভাতিজা মোশারফ হোসেন সিদ্দিকী তাদের খোঁজখবর নিতে থানায় যান। এ সময় তাদের সঙ্গে পুলিশের কথা কাটাকাটি হলে পুলিশ তাদেরও আটক করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে লতিফ সিদ্দিকী ও তার ভাই শামীম আল মনসুর আজাদ সিদ্দিকী তাদের শত শত নেতা-কর্মী নিয়ে থানার সামনে অবস্থান নেন। এ সময় তারা গ্রেফতারদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে রাস্তায় বসে পড়েন। পুলিশ হাসমত আলী ও মোশারফ হোসেন সিদ্দিকীকে ছেড়ে দিলেও এজাহারভুক্ত দুই আসামিসহ ছয়জনকে থানায় আটক করে রাখে। এদিকে আওয়ামী লীগের মনোনীত পরাজিত প্রার্থী মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার তার নেতা-কর্মীদের নিয়ে থানার দিকে আসতে থাকেন। সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ দুইপক্ষের মধ্যে অবস্থান নিয়ে মোজাহারুল ইসলাম তালুকদারের অনুসারীদের অন্যত্র সরিয়ে দেয়। অন্যদিকে বড় ভাইয়ের অবস্থান ধর্মঘটের খবর পেয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম কালিহাতীতে ছুটে আসেন। তিনি বড় ভাই লতিফ সিদ্দিকী ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে থানার ভেতর ঢোকেন। এ সময় তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশের সঙ্গে তার ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। পুলিশ এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে রেখে বাকি চারজনকে ছেড়ে দিতে রাজি হয়। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এতে সম্মতি দেন। পরে আন্দোলনকারীদের কাছে এসে এ ঘোষণা দিলে তারা অবরোধ তুলে নেন। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুজন এজাহারভুক্ত আসামিসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছিল। চারজনকে ছেড়ে দিয়ে বাকি দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

 

সর্বশেষ খবর