বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
কেন হলো এই বিপর্যয়

সংসদে এখন সবাই আওয়ামী লীগের

তৈমূর আলম খন্দকার

শফিউল আলম দোলন

সংসদে এখন সবাই আওয়ামী লীগের

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ও বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘টোটালি করাপশনের নির্বাচন’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট ইলেকশন এটি। নির্বাচনটা হয়েছে টাকার ওপরে। সংসদে এখন বিরোধী দল আর সরকারি দল বলতে আলাদা কিছু নেই, সবই আওয়ামী লীগের।’ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফল কেন এমন হলো?’ এ নির্বাচন নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী? এসব প্রশ্নের জবাব এভাবেই দিয়েছেন তিনি। অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ নির্ঘাত একদলীয় শাসনের দিকেই যাচ্ছে। আমরা দলীয় ফোরামে বসে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেব।’

সরকারের সঙ্গে কোনো আঁতাত করেনি দাবি করে তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে কোনো টাকাও নিইনি। আমাদের দল যে কিংস পার্টি নয়, এ নির্বাচনে সেটিই প্রমাণিত হয়েছে। এ অবস্থায় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি আদায়ে রাজপথের আন্দোলনে যেতে পারে তৃণমূল বিএনপি।’

অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম বলেন, এই নির্বাচনের পর দেশে বিরোধী দল বলতে আর কিছু থাকবে না। টাকাওয়ালা, ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে বাংলাদেশের নির্বাচন ও জাতীয় সংসদ। এখন আর আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের কোনো মাঠের রাজনৈতিক ব্যক্তি নির্বাচন করে সংসদে যেতে পারবে না। দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, অর্থ পাচারকারী বিত্তবান ছাড়া কোনো সৎ রাজনীতিক কিংবা এই জেনারেশনের কোনো সাধারণ ব্যক্তির পক্ষে নির্বাচনে জয়ী হওয়া অসম্ভব। তবে ভবিষ্যতে থার্ড জেনারেশন অথবা একটা ন্যায়পরায়ণ সরকার যদি দেশের ক্ষমতায় আসে তবেই এই পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব।

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই ইসির কোনো ক্ষমতা নেই। সরকারের হুকুমে কাজ করেন তারা। আর প্রশাসন হলো- ‘হাইলি করাপটেড’। করাপশনের এই নির্বাচনে তারাই সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে। দেশের রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নে মুখ্য ভূমিকাই হচ্ছে তাদের।

তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নজমুল হুদা বিএনপিরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। অতীতে বিএনপি সরকারে থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ফর্মুলা দেওয়ায় তার মন্ত্রিত্ব পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। কাজেই আমরা রাজপথের আন্দোলনের মানুষ। এবারও আমরা গণআন্দোলনের মাধ্যমেই নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি আদায় করব ইনশা আল্লাহ।

সর্বশেষ খবর