বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

রোজার আগেভাগেই দাম বাড়ল সংশ্লিষ্ট পণ্যের

নিজস্ব প্রতিবেদক

রোজার আগেভাগেই দাম বাড়ল সংশ্লিষ্ট পণ্যের

পবিত্র রমজান আসতে এখনো দুই মাস বাকি। কিন্তু তার আগেই ছোলা, ডাল, বেসন, খেজুরসহ কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। ছোলা খুচরায় কেজিতে ১০ থেকে ১৫ এবং ছোলার ডাল, খেসারি, মুগ ও বেসনের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।

আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, এলসি জটিলতাসহ নানা কারণে এবার আমদানি ব্যয় বেশি। এতে আমদানি করা এসব পণ্যের দাম বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর রায়েরবাগ, মালিবাগ যাত্রাবাড়ী বাজারসহ বিভিন্ন বাজারের পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রমজান ঘিরে গত এক মাসে ছোলার দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাসখানেক আগেও প্রতি কেজি ছোলার দাম ছিল ৯০-৯৫ টাকা। ছোলার ডাল কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। খুচরায় খেসারির ডাল প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগে ছিল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। ডালের দাম বাড়ায় বেড়েছে বেসনের দাম। এক মাসের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে মুগ ডালের। পণ্যের দাম কেজিতে ২০-২৫ টাকা বেড়ে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশে বর্তমানে রেকর্ড দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৪৫ ও প্যাকেটজাত ১৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল চিনি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।

খুচরা বাজারে জাতভেদে সব ধরনের খেজুরের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। দাবাস ও তিউনিসিয়ান জাতের মতো সাধারণ মানের খেজুরের কেজি এখন ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা। আজোয়া খেজুর মানভেদে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। মরিয়ম খেজুর ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর হিসাব অনুযায়ী, মুগ ডালের গতকালের দাম ১১০ থেকে ১৬০ টাকা। এক বছর আগে তা ছিল ৯৫ থেকে ১৩৫ টাকা। চিনি গতকাল ১৪০-১৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক বছর আগে ছিল ১১০-১১৫ টাকা। সাধারণ মানের খেজুর ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। এক বছর আগে ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হতো। অর্থাৎ খেজুরের দাম গত বছরের এ সময়ের তুলনায় টিসিবির তথ্যানুযায়ী ৪০ শতাংশ বেড়েছে। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, সাধারণত রমজানের দুই থেকে তিন মাস আগে খুচরা বিক্রেতারা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। তাই এখন থেকেই পাইকারি বিক্রেতারা রোজার সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। এতে খুচরা বাজারে প্রভাব পড়েছে।

রায়েরবাগ বাজারের আফরানা স্টোরের বিক্রেতা রায়হান বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে দুই ধরনের ছোলা বিক্রি হচ্ছে। খুচরায় পুরনো ছোলা প্রতি কেজি ১০৫ থেকে ১১০ এবং নতুন বা সাদা ছোলা মানভেদে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।’

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে এক বছরে যে পরিমাণ ছোলা বিক্রি হয় তার অর্ধেকই রমজানে। এ কারণে বাড়তি চাহিদা পুঁজি করে আমদানিকারক ও মজুদদাররা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। অনেক সময় পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও বড় ব্যবসায়ীদের বেঁধে দেওয়া দামের সঙ্গে সমন্বয় করতে ছোলার দাম বাড়ানো হয়। দেশে মুষ্টিমেয় কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ছোলা আমদানির সঙ্গে যুক্ত থাকায় সহজেই পণ্যটির দাম বাড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর