শিরোনাম
শনিবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

জামানত হারালেন দেড় হাজার প্রার্থী

মাত্র ৫২৮ জন ফেরত পাবেন টাকা, ১৯ দলের সব প্রার্থীর বাজেয়াপ্ত

গোলাম রাব্বানী

জামানত হারালেন দেড় হাজার প্রার্থী

সদ্যসমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামানত হারালেন প্রায় দেড় হাজার প্রার্থী। নির্বাচনি আইন অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে প্রার্থীদের ২০ হাজার টাকা জামানত দিতে হয়। জামানতের টাকা ফেরত পেতে হলে প্রার্থীকে নিজ আসনের মোট প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ বা সাড়ে ১২ শতাংশ ভোট পেতে হয়। কিন্তু এবারের সংসদ নির্বাচনে প্রায় দেড় হাজার প্রার্থী নিজ আসনের প্রদত্ত ভোটের সাড়ে ১২ শতাংশের কম পেয়েছেন। তবে যারা এর চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন তাদের আইনগত প্রতিনিধির কাছে জামানতের টাকা ফের দেবে কমিশন। ফলাফল বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্র জানিয়েছেন, সংসদ নির্বাচনের জামানত বাবদ প্রায় ৩ কোটি টাকা সরকারের কোষাগারে জমা হবে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ১ হাজার ৯৬৯ জন অংশ নেন। এর মধ্যে ২৮ দলের ১ হাজার ৫৩২ এবং স্বতন্ত্র ৪৩৭ জন। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১ হাজার ৯৬৯ জনের মধ্যে ১ হাজার ৪৪১ অর্থাৎ ৭৩ শতাংশ প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। আর জামানত ফেরত পাওয়ার মতো ভোট পেয়েছেন মাত্র ৫২৮ জন। এ ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ২৮ নিবন্ধিত দলের মধ্যে ১৯টির সব প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। এদিকে সারা দেশে অন্তত ৯৪২ জন ১ হাজারের কম এবং অন্তত ৪৮ জন ১০০টির কম ভোট পেয়েছেন।

ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবারে অনেক প্রভাবশালী প্রার্থীও জামানত হারিয়েছেন। সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপি, সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) ও বিএনএমের ২৫৮ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। শুধু বিএনএমের একজনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়নি। আলোচিত প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের স্ত্রী শেরীফা কাদের। এ ছাড়া সিলেট-৬ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জামানত হারিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে জামানত হারিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমূর আলম খন্দকার; মুন্সীগঞ্জ-১ (সিরাজদিখান-শ্রীনগর) আসনে জামানত হারিয়েছেন তৃণমূল বিএনপির নির্বাহী সভাপতি অন্তরা সেলিমা হুদা। এ ছাড়া রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি, বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে জাতীয় পার্টির দুবারের এমপি অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে ডাব প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম জামানত হারিয়েছেন।

ইসির কর্মকর্তারা বলেছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি ইসি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয় এবং ১৪৭ আসনে ভোট গ্রহণ করা হয়। ওই নির্বাচনে মোট ৩৯০ প্রার্থীর মধ্যে ১৬৩ জন জামানত হারান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ১ হাজার ৫৫৭ প্রার্থীর মধ্যে ৯৪১ জন জামানত হারান। ২০০১ সালের নির্বাচনে ১ হাজার ৯৩৯ প্রার্থীর মধ্যে জামানত হারান ১ হাজার ২৫৯ জন। ১৯৯৬ সালের জুনের নির্বাচনে অংশ নেন ২ হাজার ৫৭৪ জন। তার মধ্যে জামানত হারান ১ হাজার ৭৬০ জন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ২ হাজার ৭৮৭ প্রার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৯৩৪ জন জামানত হারান।

সর্বশেষ খবর