মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

নির্বাচনি সহিংসতায় আরও একজন নিহত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের হামলায় আহত নৌকার সমর্থক জিয়ার হোসেন (৪৫) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল বিকাল ৫টায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ।

গত শুক্রবার সকালে কয়া ইউনিয়নের বেড় কালোয়া মোড়ে তার ওপর হামলা করেন প্রতিপক্ষ। সে সময় জিয়ার ও তার ভাই আলতাফ হোসেন (৫০) আহত হন। তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাড় ভেঙে যাওয়ায় জিয়ারকে পরে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বিকাল ৫টায় তার মৃত্যু হয়েছে। এদিকে অন্য ভাই আলতাফ চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন। তারা কালোয়া গ্রামের মৃত কেঁদো শেখের ছেলে।

এ ঘটনায় কুষ্টিয়া-৪ আসনের নৌকার পরাজিত প্রার্থী সেলিম আলতাফ জর্জের লোকজন দাবি করেছেন, জিয়ারসহ তার ভাইকে গুলি করা হয়। সেলিম আলতাফ জর্জের সহকারী যুবলীগ নেতা জহুরুল ইসলাম তাজু বলেন, প্রতিপক্ষ বিজয়ী ট্রাক প্রতীকের সমর্থকরা নৌকায় ভোট দেওয়ায় তাদের দুই ভাইকে গুলি করে।

এদিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেছেন, চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন তাদের শরীরে গুলির কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। পুলিশ তদন্তে নিশ্চিত হয়েছে, নদীর পাড়ে পিলারের ওপর পা রেখে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় জিয়ারের পা।

পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট হত্যায় গ্রেফতার ৩ : নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনের সোনাইমুড়ীর নাটেশ্বর ইউনিয়নের যুবক শহিদুজ্জামান পলাশকে (৩৫) গুলি করে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন আহছান উল্যা কল্লা হাছান, আকবর হোসেন সোহেল ও মো. মরিজ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শারমিন আক্তার বাদী হয়ে রবিবার রাতে অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন। এর আগে বাড়ির পাশ থেকেই পলাশের মাথা থ্যাঁতলানো রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার রাতে নাটেশ্বর ইউনিয়নের পূর্ব মির্জানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পলাশ ওই গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে।

এদিকে নোয়াখালী-২ আসনে কাঁচি প্রতীকের পরাজিত (আওয়ামী লীগ নেতা) স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক জানান, পলাশ তার এজেন্ট ছিলেন। তার পক্ষে কাজ করতেন। তিনি মির্জানগর কেন্দ্রে কাঁচির এজেন্ট ছিলেন। নির্বাচনের পর সোনাইমুড়ী-সেনবাগে তার অসংখ্য নেতা-কর্মীকে হুমকি দিচ্ছে ও হামলার চেষ্টা করছে প্রতিপক্ষ। সোনাইমুড়ী থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানের সার্বিক নির্দেশনায় পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে নাটেশ্বর থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসায় আসামিরা জানিয়েছেন পূর্বশত্রুতার জেরে পরস্পর যোগসাজশে পলাশকে তারা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

 

সর্বশেষ খবর