মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভরা মৌসুমে বাড়ছে চালের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

আমনের ভরা মৌসুমেও মোকাম, পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম বেড়েছে। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন পর্যায়ে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বাবুবাজার, বাড্ডা বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ১০ দিন আগে যে মোটা চালের (স্বর্ণা ও চায়না ইরি) কেজি ৫০-৫২ টাকা ছিল, তা এখন কিনতে হচ্ছে ৫৪-৫৫ টাকায়। মাঝারি মানের চালের (পাইজাম ও বিআর ২৮) কেজি ৫৫-৫৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০-৬২ টাকা। আর মিনিকেট ও নাজিরশাইলের মতো সরু চাল ৬২-৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৬৮ থেকে ৮৫ টাকা হয়েছে। কিছু সরু চাল অবশ্য বিক্রি হচ্ছে আরও বেশি দামে। চাল ব্যবসায়ী ও চালকলের মালিকরা দাবি করছেন, মিল মালিকদের এবার কৃষকের কাছ থেকে বাড়তি দামে ধান কিনতে হয়েছে। এতে তারা নতুন করে কিছুটা দাম বাড়িয়ে বাজারে চাল ছাড়ছেন। তবে বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মিলারদের কারসাজিতে নতুন করে চালের বাজার অস্থির হচ্ছে। নানা অজুহাতে মিল মালিকরা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। এতে পাইকারি ও খুচরা বাজারেও দাম বাড়ছে। কারওয়ান বাজারে দেখা গেছে, দুই সপ্তাহে চিকন ও মোটা চাল বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গতকাল পাইকারিতে মোটা চাল ব্রি-২৮ মানভেদে প্রতি বস্তা বিক্রি হয় ২ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার ৭৫০ টাকায়। চিকন চাল (মিনিকেট) বস্তাপ্রতি মানভেদে বিক্রি হয় ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৬০০ টাকায়। নাজিরশাইল চাল মানভেদে বস্তাপ্রতি (২৫ কেজি) ১ হাজার ৭৫০ থেকে ২ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়।

ক্রেতারা বলছেন, চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সরকারকে দ্রুত বাজার তদারকিতে নামতে হবে। এই তদারকি হতে হবে সরবরাহ ব্যবস্থার একেবারে গোড়া থেকে শুরু করে সব পর্যায়ে। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সাধারণ মানুষ মোটা চাল খায়। গত দুই সপ্তাহ ধরে এ চালের দাম কোনো ধরনের কারণ ছাড়াই বাড়ানো হয়েছে। এই সময়ের চালের দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। প্রতি কেজি চালে ৫-৬ টাকা বেড়ে গেছে। এটা ব্যবসায়ীদের কারসাজি। নির্বাচনের কারণে বাজারে খুব একটা মনিটরিং ছিল না। এজন্য দাম বাড়ানো হয়েছে। ভোক্তা অধিদফতরসহ অন্য এজেন্সিগুলো যদি তৎপর হয় তাহলে দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। ব্যবসায়ীরা একেক সময় একেক যুক্তি দেয়। কখনো রোদ হলে বা বৃষ্টি হলে নানান রকম যুক্তি দেখায়।

সর্বশেষ খবর