বুধবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

স্থবির জনজীবন

তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে স্কুল বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্থবির জনজীবন

শীতের দাপটে কাঁপছে দেশ। প্রচণ্ড ঠান্ডা ও কুয়াশায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী নিম্নআয়ের মানুষ। শীতকালীন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে শিশু ও বৃদ্ধদের। ঠান্ডা ও কুয়াশার মধ্যে স্কুলে যেতে গিয়েও অসুস্থ হয়ে পড়ছে কোমলমতি শিশুরা। এমন পরিস্থিতিতে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ খুলনা বিভাগের দুই-এক স্থানে ও আগামীকাল রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। আজ ও আগামীকাল রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে ১৯ জানুয়ারির পর রাতের তাপমাত্রা ফের হ্রাস পেতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ সারা দেশের আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে, যা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এতে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হতে পারে। রাতের তাপমাত্রা বাড়লেও দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আগামীকাল দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। গতকাল রাজধানী ঢাকাতেও সারা দিন সূর্যের দেখা মেলেনি। তবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা পুরো বিভাগের মধ্যে বেশি। গতকাল ঢাকা বিভাগের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল কিশোরগঞ্জের নিকলিতে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন স্থানের শীতের পরিস্থিতি তুলে ধরা হলো- নীলফামারীতে কুয়াশার সঙ্গে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির মতো ঝরছে ঠান্ডা পানি। শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়েছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। সপ্তাহজুড়ে দেখা মেলেনি সূর্যের। ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে যানচলাচল। শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে। গতকাল নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূর্যের দেখা না মেলায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। জীবিকার তাগিদে নিম্নআয়ের মানুষ বের হলেও মিলছে না কাজ। এতে রিকশা-ভ্যানচালক, দিনমজুর, কৃষি শ্রমিকরা পড়েছেন চরম বিপাকে। বগুড়ায় বেড়েই চলেছে শীতের প্রকোপ। গতকাল জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এ মৌসুমের সবচেয়ে কম তাপমাত্রা। ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খড়কুটো, কাগজ জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন নিম্নআয়ের অনেক মানুষ। কয়েক দিন ধরেই সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশায় দিনেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহন।

তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে স্কুল বন্ধ : দেশের যেসব জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামবে, সেসব জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখতে নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। গতকাল অধিদফতরের ওয়েবসাইটে এই নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে। মাউশি অধিদফতরের সহকারী পরিচালক এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত এই নির্দেশনা সারা দেশের আঞ্চলিক উপ-পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে। একই নির্দেশনা দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। অর্থাৎ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামলে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও বন্ধ থাকবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শীত বাড়লে স্কুল বন্ধ রাখার বিষয়টি সারা দেশের বিভাগীয় উপ-পরিচালকরা তদারকি করবেন।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর