বুধবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

কলকাতার আদালতে পি কে হালদারের বিচার শুরু

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত পি কে হালদার ওরফে প্রশান্ত কুমার হালদারসহ ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। গতকাল কলকাতার নগর দায়রা আদালতে (ব্যাংকশাল) ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ‘অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২’ (চগখঅ)-এ ৩ নম্বর ধারায় চার্জ গঠন করা হয়। সেই সঙ্গে এদিন থেকেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়াও শুরু হলো। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষী গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। টানা কয়েক দফায় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে থাকার পর গতকাল অভিযুক্ত পি কে হালদার, তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারসহ ছয় অভিযুক্তই আদালতে হাজিরা দেন। বহু আলোচিত এই মামলার শুনানি ছিল আদালতের স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে। এই মামলার তদন্তকারী সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি)-এর তরফে অভিযুক্তদের সবাইকে আলাদা আলাদা করে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের কপি পড়ে শোনানো হয়। এ সময় অভিযুক্তরা সবাই নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেন।

পরে তাদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দেন আদালত। এ ব্যাপারে ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যেহেতু নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেছেন, তাই তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি সাক্ষী গ্রহণের দিন ধার্য হয়েছে এবং বিচার প্রক্রিয়ার কাজ চলতে থাকবে।

অরিজিৎ চক্রবর্তী আরও জানান, ‘এই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত পৃথ্বীশ হালদার (পিকে হালদারের ভাই) বর্তমানে কানাডায় আত্মগোপন করে রয়েছেন। তিনি নিখোঁজ, তাই এই মামলায় এখনো পর্যন্ত তাকে সংযুক্ত করা যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের বৈদিক ভিলেজ, বোর্ড হাউস ১৫, গ্রিনটেক সিটি থেকে পি কে হালদারকে গ্রেফতার করে ভারতের তদন্তকারী সংস্থা ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ (ইডি)। এ ছাড়াও রাজ্যটির বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারের আরও পাঁচ সহযোগীকেও গ্রেফতার করা হয়। এরপর ওই বছরের ২১ মে ‘অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২’ (চগখঅ)-এ তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতার হওয়ার পরেই আদালতের তরফে দুই দফায় মোট ১৩ দিন পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর থেকে কয়েক দফায় বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন অভিযুক্তরা।

সর্বশেষ খবর