শিরোনাম
শনিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

মৌসুমে বেড়েছে চালের দাম, জরিমানা ১৫ প্রতিষ্ঠানকে

নওগাঁ প্রতিনিধি

শস্যভান্ডার-খ্যাত নওগাঁয় ভরা মৌসুমেই বেড়েছে চালের দাম। করপোরেট  কোম্পানি, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, ধানের সরবরাহ কম এবং বড় মিল মালিকদের অতিরিক্ত মজুদের কারণে নওগাঁয় হঠাৎ করে এক সপ্তাহে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩-৪ টাকা। দাম স্থিতিশীল রাখতে গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা পর্যন্ত জেলায় অবৈধভাবে ধান-চাল মজুদ রাখার অভিযোগে ১৫ প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে একটি গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। চালের দাম নিয়ে ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, নওগাঁসহ দেশের ধান ও চাল উৎপাদনকারী  জেলাগুলোতে করপোরেট কোম্পানিগুলো ধান-চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ইচ্ছামতো দাম কমায়-বাড়ায়। তারা আরও বলেন, ধান-চালের বাজারে প্রশাসনের তদারকি অব্যাহত রাখলে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এদিকে মজুদবিরোধী অভিযান শুরুর পর থেকে মোকামে চাল কেনাবেচা প্রায় নেই বললেই চলে। একই মত পোষণ করেছেন ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। বর্তমানে নওগাঁর পাইকারি বাজার থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। জানা গেছে, নওগাঁয় ছোট-বড় ১ হাজার ২০০ চালকল রয়েছে। দেশের চালের চাহিদার সিংহভাগই মেটানো হয় এ জেলা থেকে। কিন্তু কয়েকটি করপোরেট কোম্পানি নওগাঁসহ দেশের বেশ কয়েকটি ধান ও চাল উৎপাদনকারী জেলায় ব্যবসায় নেমেছে। তারা সিন্ডিকেট করে চালের দাম দফায় দফায় বাড়িয়ে দিচ্ছে। বর্তমানে প্রকারভেদে প্রতি কেজি চালে ৩-৪ টাকা বেড়েছে। আর বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) বেড়েছে ১৫০-২০০ টাকা।

নওগাঁ পৌর ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান বলেন, এক সপ্তাহ আগে মোটা স্বর্ণা-৫ চাল ছিল ৪৫-৪৬ টাকা কেজি। বর্তমানে ৪৯-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ঊনত্রিশ ৫০ থেকে বেড়ে ৫৪-৫৫ টাকা, আটাশ ৫০ থেকে বেড়ে ৫৪-৫৫ টাকা, চিকন জিরাশাইল ৬০ থেকে বেড়ে ৬৩-৬৪ টাকা এবং কাটারি ৬৫ থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৬৯ টাকা কেজি দরে। প্রকারভেদে প্রতি কেজিতে ৩-৪ টাকা বেড়েছে। আরেক পৌর ক্ষুদ্র চাল ব্যবসায়ী মানিক প্রামাণিকের অভিযোগ, বড় বড় মিলার ও ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়িয়েছেন।

এ বিষয়ে জেলা চাল কল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার জানান, বর্তমানে কয়েকটি করপোরেট কোম্পানি ধান-চালের ব্যবসায় নামায় হঠাৎ করে অস্বাভাবিকভাবে চালের দাম বেড়েছে।

কৃষকের দাবি, বর্তমান বাজারমূল্যে ধান বিক্রি করলে তাদের লোকসান হবে। কারণ কৃষি উপকরণের দামের তুলনায় ধানের মূল্য অনেক কম।

সর্বশেষ খবর