শিরোনাম
শনিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

কুতুবদিয়ায় যাত্রা হলো বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের

কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কুতুবদিয়ায় যাত্রা হলো বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সের

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে করা বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সটি উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে খতমে কোরআন, মিলাদ, দোয়া মাহফিল এবং জুমার নামাজের পর বিশেষ দোয়ার মধ্যদিয়ে কমপ্লেক্সটি উদ্বোধন করা হলো। উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার-২ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আলহাজ আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য ও কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য কুতুবদিয়ার সন্তান আশেকুর রহমান, কক্সবাজার পৌর যুবলীগের সাবেক সদস্য মাশেকুর রহমান, কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতব্বর, সাধারণ সম্পাদক হাজি মোহাম্মদ তাহের, কুতুবদিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা। জানা যায়, কুতুবদিয়ার দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল আহমেদ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন খাঁটি মানুষ। তিনি শেষ বয়সে এসে জন্মভূমি দক্ষিণ ধুরুংয়ের মাটিতে গড়ে তুলেছেন তার জীবনের লালিত স্বপ্নের আরাধ্য অবকাঠামো। নিজের পৈতৃক জমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্সটি। অনেক আগে এখানেই গড়া হয়েছিল গ্রামের প্রশাসনিক কেন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদ, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র। করা হয়েছিল যোগাযোগের মাধ্যম আকবরশাহ রোড। এ আকবরশাহ রোড-আজম রোড সংযোগস্থল দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এর প্রবেশমুখেই নির্মাণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু গেট।

এখানে রয়েছে মসজিদ, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা নামে হেফজ খানা, শেখ হাসিনা বালিকা মাদরাসা, শেখ রাসেল বালক মাদরাসা, স্কুল, পুকুর ঘাট, ঈদগাহ ময়দানের মেহরাব, জানাজার লাশ ঘর, আবাসিক-অনাবাসিক ছাত্রছাত্রীদের জন্য রান্নাঘর এবং খাওয়ার ঘর, বৈঠকখানা, কবরস্থান গেট ইত্যাদি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আসামি ছিলাম। মাধ্যমিক স্কুলে পড়াকালীন থেকে ধুরুং হাইস্কুলের ছাত্র সংসদের নির্বাচিত জিএস, নাজিরহাট কলেজছাত্র সংসদের ছাত্রলীগের এজিএস এবং সাতকানিয়া কলেজ ছাত্রলীগের ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ভিপি ছিলাম। ৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলাম। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনগণকে সংগঠিত করার অপরাধে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার আমার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দেয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, আলবদর, আল শামস, রাজাকারদের সহযোগিতায় তারা আমার বাড়িতে আগুন দেয় এবং লুট করে তৎকালীন প্রায় ৫ লাখ টাকা।

মুক্তিযুদ্ধে জালাল আহমেদ নীরবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিভিন্ন  উন্নয়নমূলক ও সামাজিক কাজে নিঃস্বার্থভাবে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্ট নিহতদের স্মরণে দক্ষিণ ধুরুংয়ে অনেক কিছু নিজ উদ্যোগে নির্মাণ করেছেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর