শনিবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

টঙ্গীতে শেষ পর্যায়ে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি

আফজাল, টঙ্গী

রাজধানীর সন্নিকটে কহরদরিয়া-খ্যাত টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে দুই পর্বের বিশ্ব তাবলিগ জামাতের বার্ষিক মহাসম্মেলনের ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা। ইজতেমা সামনে রেখে তুরাগ নদের তীরবর্তী ১৬০ একর জমি বিস্তৃত ময়দানে এগিয়ে চলছে বিশ্ব ইজমেতার প্রস্তুতি।

স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে এই প্রথম ময়দানের বাইরে উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকায় নির্মিত হচ্ছে বিশাল প্যান্ডেল। ওইখানে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা জেলাওয়ারি খিত্তায় অবস্থান নেবেন। ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব-ইজতেমার প্রথম পর্ব। এরপর চার দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে  দ্বিতীয় পর্ব। ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে উভয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। আগত মুসল্লিরা জেলাওয়ারি খিত্তায় অবস্থান নেবেন। গতবারের মতো এবারও প্রথম পর্বে যোবায়ের অনুসারী মুসল্লিরা টঙ্গী ময়দানে ইজতেমার আয়োজন করছেন। এরপর মাঝে চার দিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সা’দ অনুসারীরা ইজতেমা আয়োজন করবেন। কনকনে শীত উপেক্ষা করে ঢাকাসহ আশপাশ এলাকা থেকে শত শত মুসল্লি সকাল থেকে স্বেচ্ছা শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। আগত মুসল্লিরা ময়দানে শামিয়ানা তৈরি, চট বাঁধাই, খুঁটি গাঁথা, মাটি কাটা, ময়দানের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার, ড্রেন পরিষ্কার, বিদেশিদের কামরা নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন। মুসল্লিরা দিনের মেহনত ও আল্লাহকে রাজি-খুশি করতেই ময়দানে এসে স্বেচ্ছা শ্রম দিচ্ছেন। ময়দানে স্বেচ্ছায় কাজ করতে  আসা এক মুসল্লি আবদুল হাই বলেন, দীনের দাওয়াতে  মেহনত করা, আল্লাহকে রাজি-খুশি করা। আল্লাহকে রাজি-খুশি করা মানেই আল্লাহকে পাওয়া। দুনিয়া হইল ক্ষণস্থায়ী, তাই আখেরাতের জন্য সামানা তৈরি করা জরুরি। অপর এক মুসল্লি টঙ্গী থানা মসজিদের খতিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আনসারী বলেন, আল্লাহর কাজে স্বেচ্ছায় শ্রম, অর্থ ও সময় দেওয়া অনেক বড় ফজিলত। আল্লাহর কাজে জান-মাল অর্থ সময় দিয়ে সাহায্যকারী হলে আখেরাতে জিহাদের সমতুল্য মর্যাদা পাওয়া যাবে। প্রথম পর্বের আয়োজক কমিটির এক মুরুব্বি ডা. মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আলমি সুরার ইজতেমা আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। ৪ তারিখ আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে। গতবার ময়দানে মুসল্লিদের জায়গা সংকট হওয়ায় এবার উত্তরা দিয়াবাড়ীতে বিশাল প্যান্ডেল নির্মিত হচ্ছে। ওইখানে ঢাকা ও আশপাশ জেলার মুসল্লিরা অবস্থান করবেন। আশা করছি এবার আর জায়গা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে টঙ্গী জোন পুলিশের (ডিসি) উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) মো. ইব্রাহিম খান বলেন, ২০২৪ সালের বিশ্ব ইজতেমা সফল করতে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তায় পুলিশ-র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর