রবিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

শাহ আমানতে ২৪ ঘণ্টা চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম দিনরাত ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমার পাশাপাশি বাড়বে সুবিধা। এক মাস ধরে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলছে। আগে বিমানবন্দরের কার্যক্রম সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সচল ছিল। বাকি আট ঘণ্টা বন্ধ থাকার কারণে মধ্যপ্রাচ্যসহ ইউরোপ-আমেরিকাসহ অন্যান্য রুটের যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হতো। তবে এবার দুর্ভোগ কমবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ বলেন, প্রায় এক মাস ধরে ২৪ ঘণ্টা বিমানবন্দরের কার্যক্রম সচল রয়েছে। মূলত ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালু রাখলে নতুন কোনো ফ্লাইট আসে কি না এবং কুয়াশার কারণে যে ফ্লাইটগুলো ঢাকায় নামতে পারছে না, তা যেন চট্টগ্রামে অবতরণ করতে পারে, সে জন্যই এখন কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। এটিকে পরীক্ষামূলকও বলা যায়। ভালো রেজাল্ট পেলে ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ সুপার টি এম শাহীন আহমেদ বলেন, নতুন ফ্লাইট চালু করার যে আলোচনা চলছে, তাতে আমরাও প্রস্তুত আছি। যাত্রীরা যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন, সে জন্য আমরা এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি। আশা করি যাত্রীসেবায় বিঘ্ন ঘটবে না। জানা যায়, ২০০০ সালে জাপানি দাতা সংস্থা জাইকার সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রূপ পেয়েছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর। যা সকাল ৭টা থেকে কার্যক্রম শুরুর পর রাত ১১টায় বন্ধ হয়ে যেত। বর্তমানে বিমানবন্দরের কার্যক্রম বাড়ানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট, বিমানবন্দরের পরিধি, কার্গো সুবিধা বাড়ানোসহ মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে সার্ভে কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এ ছাড়া বিমানবন্দরের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিমান সংশ্লিষ্টরা বলেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইউরোপ-আমেরিকাগামী কানেক্টিং ফ্লাইটগুলো সকালেই ছাড়ে। এসব ফ্লাইটের চট্টগ্রামের ট্রানজিট যাত্রীরা মধ্যরাতের পরিবর্তে সকালে টিকিট করতে বাধ্য হন। এতে চট্টগ্রামের যাত্রীদের মধ্যপ্রাচ্যের বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। তবে কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা চালু থাকলে বিমানবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি যাত্রীদের সুবিধাও বাড়বে।

এদিকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট পরিচালনায় আগ্রহ দেখিয়েছে সৌদি এয়ারলাইন্স ও কাতার এয়ারওয়েজ। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরব। একমাত্র বিমান বাংলাদেশ সরাসরি সৌদি আরবের জেদ্দা ও মদিনায় যায়। মধ্যপ্রাচ্যের আরও কিছু বিমান সংস্থা সৌদি আরব গেলেও মাঝখানে অন্য গন্তব্যে বিরতি দেওয়ায় সময় বেশি লাগে। আগামী মার্চে চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট পরিচালনার শিডিউল নিয়েছে সৌদি এয়ারলাইন্স। আগ্রহ দেখিয়েছে কাতার এয়ারওয়েজও। এ সংস্থার ফ্লাইট চালু হলে শুধু কাতারগামী যাত্রী নয়, ইউরোপ-আমেরিকার যাত্রীদেরও সুবিধা হবে। চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বর্তমানে ওমান এয়ার, ফ্লাই দুবাই, সালাম এয়ার, এয়ার অ্যারাবিয়া মধ্যপ্রাচ্যর বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। সম্প্রতি ফ্লাইট বন্ধ করেছে কুয়েতের জাজিরা এয়ারওয়েজ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর