ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা প্রথম দিনে বড় দরপতনের মুখে পড়লেও দ্বিতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ঢাকার শেয়ারবাজার। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। ডিএসইর সবকটি মূল্যসূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে ডিএসইতে ছয় মাস পর আবার হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। এদিকে, আরও ২৩ প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন দামের সীমা) তুলে নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর ফলে এখন আর মাত্র ১২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকল। গতকাল বিএসইসি থেকে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ২০৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। দাম কমেছে ১৪৫টির। আর ৪০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৪ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৫৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান দামের সঙ্গে লেনদেনের গতিও বেড়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪২ কোটি ২২ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৫৮৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। লেনদেন বেড়েছে ৪৫৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। গত বছরের ১৮ জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের শীর্ষে ছিল বিডি থাই অ্যালুমেনিয়ামের শেয়ার। দিনভর কোম্পানিটির ৩২ কোটি ৮৩ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ৩০ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন। সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৯৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৬৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২৩টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১১৮টির এবং ২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ২১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
আরও ২৩ প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার : আরও ২৩ প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নিয়েছে বিএসইসি। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ৩৫ প্রতিষ্ঠান বাদ দিয়ে বাকিগুলোর ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে নেওয়া হয়। ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর রবিবার শেয়ারবাজারে বড় দরতপন হয়। তবে, পরের কার্যদিবসেই অর্থাৎ গতকাল শেয়ারবাজারে ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায়। যে ১২ প্রতিষ্ঠানে ফ্লোর প্রাইস থাকবে সেগুলো হলো আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, বেক্সিমকো, বিএসআরএম লিমিটেড, গ্রামীণফোন, ইসলামী ব্যাংক, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ওরিয়ন ফার্মা, রেনেটা, রবি ও শাহজিবাজার পাওয়ার।