বুধবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
সারা দেশে বিএনপির হালচাল

কার্যালয়বিমুখ নেতা-কর্মীরা

চট্টগ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

সাংগঠনিকভাবে চট্টগ্রামে বিএনপি এখনো সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। নির্বাচনের আগের নানা হয়রানি ও মামলায় বেহাল অবস্থায় নেতা-কর্মীরা। যার কারণে দলীয় কার্যালয়মুখী হতে দেখা যাচ্ছে না তাদের। তবে মামলা ও হয়রানি মোকাবিলা করেই অনেকে দলের কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু তৃণমূল পর্যায়ের দলটির বিশাল একটি অংশ এখনো আত্মগোপনে দিনযাপন করছেন। যার কারণে দলের কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারছেন না তারা। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, গত তিন মাসে চলমান আন্দোলন কর্মসূচি ঘিরে যে মিথ্যা ও সাজানো মামলা করা হয়েছে, তা বিরল ঘটনা। মিথ্যা ভিত্তিহীন এসব মামলার কারণে নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে আসছেন না। আমরা দলীয়ভাবে এসব মামলায় জামিন ও আইনিভাবে তাদের সহযোগিতা করছি। এসব মামলায় জামিন পাওয়ার পর আর কোনো হয়রানি পোহাতে হবে না, তখন নেতা-কর্মীরা ধীরে ধীরে দলীয় কার্যালয়মুখী হবে। এখনো দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেতা-কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিচ্ছেন। পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, পুলিশি হয়রানি ও মামলা-মোকদ্দমা উপেক্ষা করে দলীয় কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীরা অংশ নিচ্ছেন। মামলার কারণে তৃণমূল পর্যায়ে কিছুটা সমস্যা হলেও এখন তা ঠিক হয়ে গেছে। যার কারণে নেতা-কর্মীরা আবারও নতুনভাবে সক্রিয় হচ্ছেন। জানা যায়, ১০ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের পর চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে মধ্যমসারির নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। এরপর হরতাল অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও বেশির ভাগ নেতাই ছিলেন দৃশ্যপটের বাইরে। এই সময়ে দলের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। যার কারণে অক্টোবর থেকে নির্বাচনের পর পর্যন্ত এখনো তারা নানাভাবে হয়রানি ও মামলার শিকার হয়েছেন। অনেকে অক্টোবর থেকে এখনো পরিবার, ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আত্মগোপনে আছেন। আত্মগোপনে থেকে দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন। এ সময়ে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় জামিন নেওয়ার জন্য এখন তদবির ও চেষ্টা করছেন। এলাকায় গিয়ে যেন কোনো ধরনের পুলিশি ঝামেলা পোহাতে না হয়- সেজন্য জামিন নেওয়ার আগে প্রকাশ্যে আসতে নারাজ নেতা-কর্মীরা।

সর্বশেষ খবর