শনিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

অভিযোগের শেষ নেই চট্টগ্রামে

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। তল্লাশির নামে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী হয়রানি, ডকুমেন্ট চেকের নামে চাঁদাবাজিসহ নানান অভিযোগ রয়েছে পুলিশের এ ইউনিটের বিরুদ্ধে। মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অন্যতম দায়িত্ব হলেও এ ক্ষেত্রে ‘ষোল আনাই’ ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। যদিও হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, ‘মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় রাতদিন কাজ করে যাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ। মহাসড়কের অবৈধ যান চলাচল ও উল্টো পথে গাড়ি চলাচল রোধ করতে শিগগির অভিযান শুরু করা হবে।’

চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের যুগ্ম-সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘মহাসড়কে অবৈধ যান ও উল্টো পথে তিন চাকার গাড়ি চলাচল করলেও এসব গাড়ির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হাইওয়ে পুলিশ। উল্টো ডকুমেন্ট চেকের নামে গাড়ি চালকদের হয়রানি করা হয়। তাদের কার্যক্রম দেখে মনে হয়- ‘রাতে তাদের চোখ ফোটে, দিনে ঘুমায়।’ অভিযোগ অনুযায়ী, মাদকের ট্রানজিট পয়েন্ট কক্সবাজার থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক পাচারের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এ মহাসড়কে মাদক উদ্ধারে মুনশিয়ানা দেখালেও এক্ষেত্রে অনেকটাই ব্যর্থ মহাসড়কের মূল দায়িত্ব থাকা পুলিশের এ ইউনিট। মাদক উদ্ধারে সফল অভিযান পরিচালনা করতে না পারলেও তাদের বিরুদ্ধে মাদক উদ্ধারের নামে গাড়ি তল্লাশি, যাত্রীদের হয়রানি এবং চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠছে অহরহ। তাছাড়া ডকুমেন্ট চেকের নামে চাঁদাবাজি এ মহাসড়কে সাধারণ ঘটনা। মহাসড়কে বিভিন্ন যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক এবং প্রাইভেট গাড়ি ডাকাতের কবলে পড়ে নিয়মিত। বাদ পড়ছে না পুলিশ সদস্যরাও। অভিযোগ রয়েছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে প্রায় ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও ভুক্তভোগীরা থানায় মামলা করতে যান না হাইওয়ে পুলিশের হয়রানি হওয়ার ভয়ে। এতে করে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ডাকাতির ঘটনা আড়ালে থেকে যায় মামলা না করার কারণে। অভিযোগ অনুযায়ী, মহাসড়কের চট্টগ্রামের সিটি গেট থেকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত ২৫৬ কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে অবৈধ বাজার, স্টেশন ও পার্কিং, সড়কের পাশে তৈরি করা হয়েছে দোকান ও মার্কেট। মহাসড়কে তিন চাকার সিএনজি ট্যাক্সি চলাচল নিষিদ্ধ হলেও মিরসরাই, সীতাকুণ্ড, ফেনী, কুমিল্লাসহ অনেক এলাকাতে প্রতিদিনই সিএনজি ও অটোরিকশা চলতে দেখা যায়। উল্টো পথে চলাচলকারী যানবাহনের কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব ট্যাক্সি সড়ক দাপিয়ে বেড়ায়। আবার কিছু এলাকায় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে এবং যাত্রাপথ কমিয়ে আনতে অনেক সিএনজি ও অবৈধ যানবাহনের চালকরা উল্টো পথেও যানবাহন চালাতে দেখা যায়। এদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায় না হাইওয়ে পুলিশকে।

সর্বশেষ খবর