কুমিল্লায় হাইওয়ে পুলিশের ছয়টি থানার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ যাত্রী ও সচেতন জনগণের। তাদের দাবি, হাইওয়ে পুলিশ দায়িত্বশীল হলে নিরাপদ থাকত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কুমিল্লা-সিলেট, কুমিল্লা-চাঁদপুর ও কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক। গাফিলতির কারণে মহাসড়কে ধীরগতি, যানজট ও দুর্ঘটনা ঘটছে। তবে হাইওয়ে পুলিশের দাবি, জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট সংকটের কারণে কিছু সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ১৫টি স্থানে বাজার বসে। স্ট্যান্ড রয়েছে কমপক্ষে ২০টি স্থানে। ওইসব স্থানে প্রায়ই মহাসড়ক গতি হারায়। হাইওয়ে পুলিশ তৎপর হলে মহাসড়কে বাস-ট্রাক থামিয়ে টার্মিনালের রূপ দিতে পারত না। গতিশীল হতো মহাসড়ক। এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের থানাগুলো হচ্ছে, দাউদকান্দি, ইলিয়টগঞ্জ, ময়নামতী ও মিয়াবাজার। এ ছাড়া কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে রয়েছে লাকসাম থানা, হাইওয়ে ক্রসিং থানা। কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে রয়েছে মিরপুর হাইওয়ে থানা।
সরেজমিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মহাসড়কের ওপরই বাস, ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিকশা দাঁড়িয়ে আছে। এখানে প্রায়ই যানজট হচ্ছে। বিশেষ করে লাকসাম রোডের উল্টো পাশে মসজিদের সামনে বাস ফেলে রাখা হয়েছে। জরুরি যান চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা। চৌদ্দগামের মিয়াবাজার এলাকায় গিয়ে গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রী ও বিভিন্ন মালামাল নিয়ে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল করছে। সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজি এলাকায় মহাসড়কের ওপরই সিএনজিচালিত অটোরিকশার অঘোষিত স্ট্যান্ড। একই অবস্থা মহাসড়কের কোটবাড়ি বিশ্বরোড, আলেখারচর বিশ্বরোড, সেনানিবাস, নিমসার, চান্দিনা, ইলিয়টগঞ্জ, গৌরীপুরসহ দাউদকান্দির বিভিন্ন এলাকায়। সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সাবেক সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, নামেই হাইওয়ে পুলিশ। হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা থাকলে মহাসড়কে এত বাজার বসত না। যে কোনো দুর্ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ মহাসড়ক বন্ধ থাকত না। পদুয়ার বাজারের ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ অবৈধ তিন চাকার যানবাহনের দখলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়ার বাজার এলাকা। এতে মহাসড়কে চলাচলরত দূরপাল্লার যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসসহ জরুরি সেবার যানবাহনগুলোকে প্রায়ই যানজটের কবলে পড়তে হচ্ছে। এ ছাড়া এখানে বাস ও ট্রাক সড়কে ফেলে রাখা হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম বলেন, মহাসড়ককে গতিশীল করতে আমরা কাজ করছি। সার্ভিস লেন হলে সমস্যা অনেক কমে যাবে।
