শনিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

অবৈধ যান চলাচল বন্ধে ব্যর্থ যশোর

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের মহাসড়কগুলোতে সড়ক ডাকাতি একসময় নিয়মিত ঘটনা ছিল। গত দেড় দশকে তা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। এই কৃতিত্ব হাইওয়ে পুলিশের বলে মনে করেন স্থানীয় পরিবহন শ্রমিক নেতারা। তবে হাইওয়ে পুলিশের কিছু ব্যর্থতাও রয়েছে বলে তারা দাবি করেন। খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বড় পরিবহন শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতি। এর সদস্য সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। সংগঠনটির সভাপতি আজিজুল আলম মিন্টু বলেন, সড়ক ডাকাতি প্রতিরোধে শ্রমিকদের দাবির মুখেই হাইওয়ে পুলিশ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সে কাজে তারা ১০০ ভাগ সফল হয়েছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে হাইওয়ে পুলিশের কারণে সড়কে পরিবহন শ্রমিকদের বিড়ম্বনা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা করত ট্রাফিক পুলিশ। এখন তা ট্রাফিক পুলিশও করে, হাইওয়ে পুলিশও করে। এতে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সময় নষ্ট হয়, অনেক ক্ষেত্রে যানজটেরও সৃষ্টি হয়। আজিজুল আলম মিন্টু বলেন, মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে না পারাটাও হাইওয়ে পুলিশের একটা বড় ব্যর্থতা। যে কারণে দুর্ঘটনা কমানো যাচ্ছে না। তিনি বলেন, যশোর-খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়ায় এবং যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের নাভারণে হাইওয়ে পুলিশের যে দুটি থানা রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি বা ‘মাসিক’ আদায়ের কোনো অভিযোগ নেই। তিনি দাবি করেন, যশোরের বর্তমান পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার আসার পর থেকেই তিনি এ বিষয়টি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করছেন। যশোরের নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হামিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, হাইওয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি বা এ ধরনের কোনো অভিযোগ নেই। এ রকম কোনো অভিযোগ পেলে পুলিশ সুপার সঙ্গে সঙ্গেই বদলি করে দেন। এগুলো শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, হাইওয়েতে অবৈধ যানবাহন নসিমন, করিমন, ভটভটি প্রভৃতির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে, মামলা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মামলা নিষ্পত্তি করে আবারও সেগুলো হাইওয়েতে উঠছে। এ ধরনের কোনো কোনো যানবাহনের বিরুদ্ধে ১০/১২টা পর্যন্ত মামলা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সব মামলা নিষ্পত্তি করে আবার তারা হাইওয়েতে উঠছে। আমরা তো এগুলো আটক করে ধ্বংস করতে পারি না, আমাদের সে অধিকার নেই। আবার শুধু মামলা দিয়েও এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, যশোর-নওয়াপাড়া সড়কটি খুবই খারাপ থাকায় অনেক সময় রাস্তার মাঝে গাড়ি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকছে। তাতে জ্যামের সৃষ্টি হচ্ছে। মহাসড়কে যে উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে, তা পরিকল্পিত না। আমরা সারা দিনই কাজ করি, তাতেও জ্যাম কমাতে পারছি না। সারা দিনই আমাদের ডিউটি পার্টি থাকে। তারপরও ৫/৬ ঘণ্টার জ্যাম সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চলাচলের বিকল্প রাস্তা না করেই সড়কের উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে। একই রাস্তায় উন্নয়ন কাজও চলছে, সেই রাস্তা দিয়ে গাড়িও চলাচল করছে।

সর্বশেষ খবর