শনিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

তেমন তৎপরতা নেই ভালুকায়

আসাদুজ্জামান সুমন, ভালুকা

মহাসড়ক পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব হাইওয়ে পুলিশের। কিন্তু মহাসড়কের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হাইওয়ে পুলিশ। পরিবহন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চাঁদা তোলা ছাড়া হাইওয়ে পুলিশের তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়ে না। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের ন্যূনতম নিয়ন্ত্রণ নেই। এই মহাসড়কে ডাকাতি-ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে মাঝে মাঝে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সরেজমিন দেখা যায়, হাইওয়ে পুলিশের সদস্যদের নাকের ডগায় নিষিদ্ধ বাহন ছুটে বেড়াচ্ছে হরহামেশাই। একেবারেই অদক্ষ ও কিশোর চালক চালাচ্ছে ‘থ্রি হুইলার’ ব্যাটারিচালিত রিকশা, লরি ও ইজিবাইক জাতীয় বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন। শিল্পাঞ্চল ভালুকায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, লরি, অটো চার্জার ভ্যান, থ্রি হুইলার জাতীয় ইজিবাইক ও অযান্ত্রিক যানবাহন। মহাসড়কে বাধাহীনভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব যানবাহন। জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ কড়াকড়ি হলে কেন থামানো যাচ্ছে না ভয়ংকর এসব যানবাহন? সাধারণ মানুষের অভিযোগ, মাসিক টাকার বিনিময়ে এসব অবৈধ যানবাহন মহাসড়কে চলতে দিচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ।

নাম না প্রকাশের শর্তে এক লরি মালিক বলেন, প্রতি মাসে পুলিশকে ১৫০০ টাকা দিলে একটা কার্ড প্রদান করে। ওই কার্ড দেখালে পুলিশ লরি ছেড়ে দেয়। নাগরিক আন্দোলনের নেতা কামরুল হাসান পাঠান কামাল বলেন, মহাসড়কে চাঁদা নেওয়ার সময়ই কেবল হাইওয়ে পুলিশের দেখা মেলে। মহাসড়কগুলোতে তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। সবাই ব্যস্ত গাড়ি আটকিয়ে টাকা নেওয়ায়। টাকা না দিলে মামলার ভয় দেখানো হয়।

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আতাউর রহমান বলেন, আমরা নিজেদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করছি মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে। তবে জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন মহলকে সোচ্চার না হলে মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো কঠিন।

হাইওয়ে পুলিশ ময়মনসিংহ সার্কেল এএসপি নুরুল আলম সিদ্দিকী মহাসড়কের চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে যদি সুস্পষ্ট চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনবল ও যানবাহনের অভাব থাকায় হাইওয়ে পুলিশের সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর