শিরোনাম
শনিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

রেকর্ড পর্যটকের পদচারণে মুখরিত কুয়াকাটা সৈকত

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

রেকর্ড পর্যটকের পদচারণে মুখরিত কুয়াকাটা সৈকত

কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত উপভোগের অপূর্ব স্থান। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রাখাইনপাড়া। দীর্ঘ সৈকতে লাল কাঁকড়ার ছোটাছুটি। পাখির কলকাকলি। সৈকতে বিছানো সারি সারি ঝিনুক। সাগরের বিশালতার পাশাপাশি অপরূপ সৌন্দর্য যেন বিমোহিত করে ভ্রমণপিপাসু প্রকৃতিপ্রেমীদের। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা কারণে দীর্ঘদিন পর্যটকশূন্য ছিল পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা। তবে গতকাল সকাল থেকে দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার   সৈকত রেকর্ড পর্যটকের পদচারণে মুখর। হালকা হিমেল বাতাসে পর্যটকরা বালিয়াড়িতে নোনা জলে গা ভাসিয়ে আনন্দে মেতেছে। অনেকে বেঞ্চে বসে উপভোগ করছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। কেউবা ঘুরছে ঘোড়ায় কিংবা ওয়াটারবাইকে। অধিকাংশ হোটেল-মোটেলের কক্ষ বুকড্। উচ্ছ্বসিত ব্যবসায়ীরা। পর্যটক মোস্তাফিজুর রহমান সুজন ও মিলি আক্তার দম্পতি বলেন, ‘খুব অল্প সময়ের মধ্যে কুয়াকাটায় এসে পৌঁছেছি। এখানকার পরিবেশ ভালোই লাগছে। একসঙ্গে এত মানুষ এর আগে দেখিনি।’ পর্যটক রহমান মিয়া বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে এসেছি। বাচ্চারা সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে উন্মাদনায় মেতেছে। বেঞ্চে বসে উপভোগ করেছি তীরে আছড়ে পড়া ছোট ছোট ঢেউ। ঘুরে দেখেছি দর্শনীয় স্পট। পরিবেশসহ এখানকার সবকিছুই ভালো লেগেছে।’ ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা-টোয়াকের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর এত বেশি পর্যটক দেখে ব্যবসায়ীরাও উচ্ছ্বসিত।

এভাবে সৈকতে পর্যটক থাকলে পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা পেছনের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন।’ কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক মো. হাসানাইন পারভেজ বলেন, ‘পর্যটকের চাপ একটু বেশি আজ (শুক্রবার)। তাই নিরাপত্তায় বিভিন্ন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মাঠে টহল টিম কাজ করছে।’

সর্বশেষ খবর