শনিবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

একজনের কিডনিতে বাঁচল দুজনের প্রাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশে দ্বিতীয়বারের মতো ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট পদ্ধতিতে ‘ব্রেন ডেড’ মানুষের কিডনি অন্য মানুষের শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এ ট্রান্সপ্লান্ট কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

বিএসএমএমইউর আইসিইউতে বৃহস্পতিবার ব্রেন ডেড ঘোষণা করা হয় ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দা ৩৮ বছর বয়সী মাসুম আলমকে। মৃত্যুর পর ক্যাডাভার হিসেবে অঙ্গদানের সম্মতি প্রদান করে তার পরিবার। দেশে দ্বিতীয়বার ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের প্রধান সার্জন ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল। ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের শুরুতে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ কেবিন ব্লকের ওটিতে এসে দাতা মাসুমের পরিবার ও গ্রহীতার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।

ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে প্রথমে মাসুমের একটি কিডনি গ্রহণ করেন ঢাকার মহাখালীর বাসিন্দা ৪৯ বছর বয়সী তাহমিনা ইয়াসীন। অন্য কিডনিটি নিয়েছেন জাকির হোসেন (৪৪) নামে এক ব্যক্তি। যিনি সাত বছর ধরে ডায়ালাইসিস করে আসছিলেন। এ বিষয়ে বিএসএমএমইউর উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মাসুম আলমকে বৃহস্পতিবার ব্রেন ডেড ঘোষণা করা হয়। তিনি মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পাঁচ দিন আগে আমাদের হাসপাতালে আসেন। তখন তিনি পুরোপুরি অজ্ঞান ছিলেন। এর আগেও তিনি আমাদের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসায় ভালো হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। তবে এবার পাঁচ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর তাকে আমরা মৃত ঘোষণা করি। তার মৃত্যুর পর ক্যাডাভার হিসেবে অঙ্গদানের সম্মতি প্রদান করে তার পরিবার।’ তিনি বলেন, এর আগে গত বছরের ১৮ জানুয়ারি সারাহ ইসলাম নামে ২০ বছরের এক তরুণীকে ব্রেন ডেড ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সেদিন রাতেই তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় দুজন নারীর শরীরে। সেই কিডনি নিয়ে সুস্থভাবে বেঁচে আছেন শামীমা আক্তার নামে এক নারী। তবে অন্য জনের মৃত্যু হয়েছে।

সর্বশেষ খবর