মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার ইরাকি সংগঠনের

প্রতিদিন ডেস্ক

জর্ডানের সীমন্তবর্তী সিরিয়ার আল-তানাফ ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়ে তিন মার্কিন সেনাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইরাকের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন। পাশাপাশি এ বিষয়ে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস বলেছে, সিরিয়ার মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা ছিল আমেরিকার জন্য একটি সুস্পষ্ট বার্তা। সূত্র : আল জাজিরা, পার্স টুডে, রয়টার্স

জর্ডান, ইরাক ও সিরিয়ার যৌথ সীমান্তের কাছে একটি মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে গত রবিবার চালানো এই ড্রোন হামলায় অন্তত তিন মার্কিন সেনা নিহত ও অপর ৩৪ জন আহত হন। এ বিষয়ে ইরাকের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন ওইদিন রাতেই দেওয়া এক বিবৃতিতে ড্রোন হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে জানায়, জর্ডানের সীমন্তবর্তী সিরিয়ার আল-তানাফ ঘাঁটিতে তারা ওই হামলা চালিয়েছে। গাজা উপত্যকার ওপর দখলদার সেনাদের পৈশাচিক গণহত্যার প্রতিবাদে এ হামলা চালানো হয়েছে। ফিলিস্তিনের ইসলামী জিহাদ আন্দোলনও মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে হামলার ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে অবৈধ মার্কিন সামরিক উপস্থিতির বিরুদ্ধে এটি ছিল একটি স্বাভাবিক ও বৈধ প্রতিক্রিয়া। ইসলামী জিহাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যয় প্রায় চার মাস ধরে ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতি আমেরিকা যে নির্লজ্জ সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে- তার পরিণতি হচ্ছে এই হামলা। হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তিন মার্কিন সেনার নিহত হওয়ার ঘটনায় বাইডেন প্রশাসনের কাছে এই বার্তা পৌঁছেছে যে, গাজার নিরপরাধ মানুষের হত্যাযজ্ঞ চলতে থাকলে তাকে গোটা মুসলিম উম্মাহর মোকাবিলা করতে হবে। এদিকে উল্লিখিত হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইরানকে দায়ী করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এ হামলার জন্য ‘ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়াদের’ দায়ী করেন এবং প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজের অফিসিয়াল এক্স পেজে দেওয়া এক পোস্টেও এজন্য সরাসরি ইরানকে দায়ী করে বলেন, প্রতিরোধ ফ্রন্টের এসব হামলা পরিচালনায় ইরান জড়িত রয়েছে। তবে এসব বক্তব্য ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যে যা কিছু ঘটছে তা উল্টো করে তুলে ধরার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশে এ ধরনের দাবি উত্থাপন করা হচ্ছে। এ ছাড়া, তারা তৃতীয় পক্ষের বিশেষ করে শিশু হত্যাকারী ইহুদিবাদী সরকার দ্বারা প্ররোচিত হয়ে এ ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইয়েমেন, ইরাক কিংবা লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধারা যা কিছু করছেন তারা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত ও সক্ষমতা অনুযায়ী করছেন এবং এখানে তেহরানের কোনো হাত বা সংশ্লিষ্টতা নেই। মধ্যপ্রাচ্যে তার কোনো প্রক্সি গ্রুপ নেই।’

সর্বশেষ খবর