মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

বঙ্গোপসাগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৭ জেলে আহত

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি

বঙ্গোপসাগরে একই ট্রলারের জেলেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। গতকাল সকালে আহতদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাথরঘাটার দক্ষিণে লাল দিয়া এলাকায় সংঘর্ষ হয় বলে চিকিৎসাধীন জেলেরা নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, বুধবার আলম মোল্লার মালিকানাধীন এফবি শাহ মোহছেন আউলিয়া-৩ ট্রলারে ১৭ জন জেলে পাথরঘাটার লঞ্চঘাট থেকে মাছ ধরতে সাগরে যায়। সাগরে জাল ওঠানো নিয়ে বিরোধে দুই পক্ষে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের অন্তত ১৭ জন জেলে আহত হয়েছেন। এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হানিফা, আফান, মো. রাশেদ, হেলাল, বেলাল বলেন, কয়েকদিন ধরে সাগরে ওই ট্রলারে কাক্সিক্ষত মাছ না পাওয়ায় ট্রলার মাঝি জয়নাল অপর ট্রলারে ডাকাতি করতে বললে তাতে রাজি না হওয়ায় মারধর করে। তাদের মধ্যে হেলালের মাথায় ১৪টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। ট্রলার মালিক আলম মোল্লা বলেন, ডাকাতির করানোর কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। জাল টানা নিয়ে আমার ট্রলারের জেলেদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এই ঘটনায় লিখিতভাবে মীমাংসা করা হয়েছে। উপজেলা স¦াস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, কয়েকজন আহত জেলে ভর্তি হয়েছে। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া আঘাতের বিষয় বলা যাচ্ছে না। তবে একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র পাঠানো দরকার হতে পারে। বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সুলতানা নাদিরার মেয়ে ফারজানা সবুর রুমকি বলেন, শুনেছি সাগরে ডাকাতি করতে রাজি না হওয়ায় দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। আমি তাৎক্ষণিক আহতদের খোঁজখবর নিয়েছি, তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব আমি নিয়েছি। তবে অন্যায় অপরাধ সংঘটিত হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। পাথরঘাটা থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুজ্জামান বলেন, এ রকমের ঘটনা শুনেছি। তদন্ত চলছে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

 

 

সর্বশেষ খবর