বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

থেমে থেমে গোলাগুলি মিয়ানমার সীমান্তে

বাংলাদেশে আবারও এসে পড়েছে মর্টারের গোলা

বান্দরবান ও কক্সবাজার প্রতিনিধি

থেমে থেমে গোলাগুলি মিয়ানমার সীমান্তে

মিয়ামানমার সীমান্ত এলাকা থেকে আবারও মর্টারের গোলা এসে পড়েছে বাংলাদেশের সীমান্তের ভিতরে। গত মঙ্গলবার রাতে এ গোলা এসে পড়ে তুমব্রু সীমান্ত এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহিমের বসত ভিটায়। গতকাল সকালে মর্টার শেলটি উদ্ধার করে বিজিবির হাতে তুলে দিয়েছেন এলাকাবাসী। বিজিবি জানিয়েছে, এটি অবিস্ফোরিত গোলা ছিল। এর আগে সোমবার দুপুরেও কোনার পাড়া এলাকায় বিস্ফোরিত মর্টার শেলের খোসা পাওয়া গিয়েছিল। আর মঙ্গলবার রাতে এসে পড়া গোলাটি তুমব্রুর ঘোনারপাড়ায় এসে পড়ে। এসব ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। যদিও গোলা এসে পড়ার ঘটনায় এ পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সে দেশের জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে থেমে থেমে গোলাগুলি চলছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ও দুপুরে এবং গতকাল ভোরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়নের ঘুমধুমের তুমব্রু, কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী আঞ্জুমানপাড়া, টেকনাফের হোয়াক্যং সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অংশে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শুনেছে বাসিন্দারা। তুমব্রু ও হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অংশে হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গেছে। এ অবস্থায় টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সিরাজুল মোস্তফা লালু জানান, মিয়ানমার অংশে গোলাগুলিতে তাদের সন্তানরা স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে। তুমব্রু ঘোনারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আবু সিদ্দিক বলেন, মধ্যরাতে গোলাগুলি শুরু হলে ভয়ে কাঁচাঘরের বাসিন্দারা পাড়ার বা কাছাকাছি পাকা দালানে গিয়ে আশ্রয় নেন। আগের রাতে যখন আবারও গোলাগুলি শুরু হয় তখন অন্যের ঘরে আশ্রয় না পেয়ে সীমান্ত সড়কের ওপারে আশ্রয় নিয়েছিলাম। ভাজাবনিয়া সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নূরজাহান বেগম বলেন, সীমান্তের ওপারের গোলাগুলির ভারী শব্দে পুরো এলাকা কেঁপে ওঠে। কোন সময় আবার গোলাগুলি শুরু হয় তা বলা মুশকিল। এ পরিস্থিতিতে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে খুবই ভয় লাগে। এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল গতকাল সকাল থেকে ঘুমধুম- তুমব্রু সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন এবং সেখানে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা করেছেন। এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, যে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সীমান্তের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হবে।

 

সর্বশেষ খবর