শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
আদমজী ইপিজেডের কারখানা

খাবার খেয়ে ৩ শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের একটি প্রতিষ্ঠানের ৩ শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা সবাই ইপিক গার্মেন্টস নামের একটি কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী। বৃহস্পতিবার রাত থেকে অসুস্থ শ্রমিক-কর্মচারীরা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল, খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হন। গতকাল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদমজী ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মসিউদ্দিন মেজবাহ। শ্রমিক ও পুলিশ জানান, বৃহস্পতিবার দিনভর ইপিক গার্মেন্টের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে দুপুরের খাবারের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন শ্রমিক-কর্মচারী। রাতে একে একে শ্রমিকরা অসুস্থ হতে থাকেন। পরে তাদের কয়েকজনকে বেপজা হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের সিদ্ধিরগঞ্জের আলিফ জেনারেল হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক এস কে ফরহাদ বলেন, আমাদের এখানে ২২ জন ভর্তি হয়েছিলেন। এ ছাড়া আরও বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জনকে এই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আদমজী ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মসিউদ্দিন মেজবাহ বলেন, ইপিক গার্মেন্টের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে সন্ধ্যার পর শ্রমিকরা অসুস্থ হতে থাকে। পরে তাদের কয়েকজনকে বেপজা হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে খাবারের কারণেই তারা অসুস্থ হয়েছিল। অনেকেই এ খাবার নিয়ে বাসায় গেলে পরিবারের অন্য সদস্যরা এ খাবার খেয়ে আক্রান্ত হন। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ফুড পয়জনিংয়ের কারণে ইপিকের শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আদমজী আলিফ জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত ডা. তারিকুল ইসলাম জানান, ফুড পয়জনিং থেকে সমস্যাটা হয়েছে। এখানে ১০০ জনের বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ইপিক গার্মেন্টের জি এম মিজানুর রহমান জানান, শ্রমিকদের বিনোদনের জন্য প্রতিবছর বাৎসরিক অনুষ্ঠান পালন করা হচ্ছে। শ্রমিকরা সপরিবারে এই উৎসব উপভোগ করে থাকেন। তাদের জন্য ভালো খাবার, কনসার্ট ও খেলাসহ বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। দুপুরের খাবার খেয়ে সবাই বিকাল ৫টা পর্যন্ত কনসার্ট উপভোগ করছিলেন। তখন ওখানেই বেশ কয়েকজন বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সন্ধ্যা থেকে শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে পড়েন।

সর্বশেষ খবর