শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

দুর্লভ হলুদচিটি ঘরগিন্নি সাপ

দীপংকর ভট্টাচার্য লিটন, শ্রীমঙ্গল

দুর্লভ হলুদচিটি ঘরগিন্নি সাপ

দেখতে সাধারণ ঘরগিন্নি সাপের মতো হলেও এরা আসলে ঘরগিন্নি সাপ নয়। এটি দুর্লভ প্রজাতির হলুদচিটি ঘরগিন্নি সাপ। তবে এরা ঘরগিন্নি প্রজাতির। অঞ্চলভেদে এরা হলুদছাপ-ঘরগিন্নি নামেও পরিচিত। ইংরেজি নাম Yellow speckled wolf snake. বৈজ্ঞানিক নাম Lycodon jara. সচরাচর দেখা মেলে না। তাই এ সাপ অনেকটা দুর্লভ প্রজাতির।

৩১ জানুয়ারি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটি চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপকের বাংলোয় দুর্লভ হলুদচিটি ঘরগিন্নি সাপের দেখা মেলে। অপরিচিত এ সাপ দেখে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে বাংলাদেশ বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের লোকজন সাপটি উদ্ধার করে নিয়ে এসে স্থানীয় বন বিভাগে হস্তান্তর করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুল এইচ খান বলেন, ‘এটি সাধারণ ঘরগিন্নি সাপ নয়। এরা ঘরগিন্নি প্রজাতির হলেও সচরাচর দেখা মেলে না। এটি হলুদচিটি ঘরগিন্নি। সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় আট-দশ বারের মতো এদের দেখা গিয়েছিল। এ ছাড়া আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুবার দেখা যায়। এ সাপ ২ ফুটের মতো লম্বা হয়। এদের গায়ের রং জলপাই, ওপরে হলুদ ছাপ। এরা ভয় পেলে কুণ্ডলী পাকিয়ে মাথাটা লুকিয়ে রাখে। অপ্রাপ্তবয়স্ক সাপগুলোর মাথার পেছনে সাদা বা হলুদ দাগ থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই সাদা বা হলুদ দাগগুলো চলে যায়। তখন পুরো শরীরে হলুদ ফোঁটা হয়ে যায়। এরা মূলত নিশাচর সাপ। তবে মাঝে মাঝে দিনের বেলায় বের হয়। এদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে সাধারণত ব্যাঙ, ছোট ছোট গিরগিটি, আঁচিলা। এরা মাটিতে থাকতেই পছন্দ করে।’ বাংলাদেশ বন্য প্রাণী ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব বলেন, ‘বাগানের বাংলোয় হলুদ ছাপের একটি সাপ দেখে সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আমরা খবর পেয়ে সাপটি উদ্ধার করে নিয়ে আসি।’ বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজার রেঞ্জ কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘সাপটি সুস্থই ছিল। তাই লাউয়াছড়া বনের জানকীছড়া ক্যাম্প এলাকায় অবমুক্ত করা হয়েছে।’

 

সর্বশেষ খবর